মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই কথা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় স্বাস্থ্য ভবন। এমনকি যদি কোনও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ জমা হয় তাহলে ওই চিকিৎসক স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় কোনও চিকিৎসা করতে পারবেন না বলেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন। স্বাস্থ্যসাথীর জন্য যে সফটওয়্যারে তথ্য নথিভুক্ত করা থাকে, সেই সফটওয়্যার এমন ভাবেই তৈরি করা হচ্ছে বলে জানানো হয় স্বাস্থ্য ভবনের পক্ষ থেকে।
advertisement
তবে কোনও ত্রুটি হলে তা ধরা হবে সে কথাও কিন্তু স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। কোনও রোগীর চিকিৎসায় বাস্তবে যা খরচ হয়েছে তা বিকৃত করে মিথ্যা হিসাব দিয়ে ধরা পড়লে চরম শাস্তি পেতে হবে। আবার দিন–তারিখ বদল করে অনিয়ম করে ধরা পড়লে মাঝারি ধরনের শাস্তি মিলবে। আর একই খরচ একাধিকবার ধরা পড়লে জেল ও জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে। বেসরকারি নার্সিংহোম ও হাসপাতালগুলিকে তিনটি রঙে তাদের অপরাধ চিহ্নিত করা হবে। লাল— গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে এই রঙ মিলবে। হলুদ—মাঝারি ধরনের অপরাধ করলে এই রঙ দেওয়া হবে। আর সবুজ—খুব কম অনিয়মের ক্ষেত্রে এই রঙ মিলবে।
অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পকে সামনে রেখে এক শ্রেণির অসাধু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ব্যাপক খরচ দেখাচ্ছে। ভুয়ো রোগী বা অপ্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প থেকে দেদার টাকা তুলে নিচ্ছে। এহেন বেআইনি কাজ রুখতে জেলাভিত্তিক নজরদারি দল রয়েছে। সেসব কাজের জন্য স্বাস্থ্যদফতর নতুন সফটওয়্যার তৈরি করেছে। অন্তত দু’হাজার বেসরকারি -হাসপাতাল ও নার্সিংহোমকে যুক্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রায় ২০০ সরকারি চিকিত্সককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলির ভুল-ত্রুটি ধরবেন। সতর্ক করবেন। সম্প্রতি এই নিয়ে ‘স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিভ প্রসিডিওর’ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্যদফতর।