সেই বৈঠকে আবাস যোজনার ৮৯% এরও বেশি বাড়ি অনুমোদন করার জন্য বিভিন্ন জেলাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মুখ্য সচিব। পাশাপাশি আগামী তিন মাসের মধ্যেই সব বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করে ফেলতে হবে বলেও এই দিনের বৈঠকে কার্যত ডেড লাইন দিয়ে দিয়েছেন নবান্ন। এমনটাই খবর সূত্র মারফত। কোন জেলার কেমন পারফরম্যান্স সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য এদিন তুলে দেন মুখ্য সচিব জেলাশাসকদের সামনে।
advertisement
তবে যে অনুমোদনগুলি এখনও দেওয়া হয়নি, সেগুলো যদি দ্রুত দিয়ে দেওয়া হয় সে বিষয়ে এই দিন নির্দেশ দেন মুখ্য সচিব। ৮০ শতাংশের নিচে অনুমোদন হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশের মধ্যে অনুমোদন হয়েছে কোচবিহার, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা, আলিপুরদুয়ার, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর, জলপাইগুড়ি, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। ৯১ থেকে ১০০ শতাংশের মধ্যে অনুমোদন হয়েছে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়া জেলায়।
এদিনের বৈঠকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই উপভোক্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্টেক হোল্ডারদের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে ই প্রশিক্ষণ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যারা ইট প্রস্তুতকারক এবং যারা সরবরাহ করবেন, তাদের সঙ্গেও চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে বৈঠক করে গোটা রূপরেখা সাজানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
আরও পড়ুন, বছরের শুরুতেই আজ মেগা বৈঠক তৃণমূল কংগ্রেসের, সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী বলবেন
আরও পড়ুন, ২৫-এর জন্মদিনে তৃণমূল পেল 'নতুন বাড়ি', ক'তলা হচ্ছে ভবন? কী কী ব্যবস্থা থাকছে? জেনে নিন এবার
আগামী ৯ জানুয়ারি থেকে প্রত্যেক মুহূর্তের আপডেট নবান্ন কে দিতে হবে বলেও এদিনের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে। পাশাপাশি প্রত্যেক মাসে আবাস সপ্তাহ পালন করতে হবে জেলাগুলিকে। ৯০ দিনের মধ্যে বাড়ি তৈরির কাজ না শেষ হলে, রাজ্যের আবাস যোজনার অধীনে যে বাড়ি তৈরির সংখ্যা বরাদ্দ হয়েছে সেই কোটা অন্য রাজ্যকে দিয়ে দিতে পারে কেন্দ্র। এদিনের বৈঠকে জেলাগুলিকে ফের এই বিষয়ে মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে জেলাগুলিকে বলেও নবান্ন সূত্রে খবর।