শৌচালয় তৈরির কাজ কেন এত ধীরগতিতে হচ্ছে, এবার নবান্নের এই প্রশ্নের মুখে পড়ল একাধিক জেলা। নবান্ন সূত্রে খবর, গ্রামীন এলাকায় বাড়ি বাড়ি শৌচালয় তৈরি থেকে শুরু করে নিকাশি ব্যবস্থা উন্নয়ন ও সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্টের একাধিক কর্মসূচিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ বরাদ্দ রয়েছে রাজ্যের হাতে। কিন্তু তা সময়মতো খরচ করা হচ্ছে না।
advertisement
সম্প্রতি নবান্নের তরফে জেলাগুলিকে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত দফতরের পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে রাজ্যের ৫ জেলায় বাড়ি বাড়ি শৌচালায় তৈরির কাজ লক্ষ্যমাত্রা ৩০ শতাংশেরও কম। মুর্শিদাবাদ, পূর্ব বর্ধমান, ঝাড়গ্রাম, নদীয়া এবং মালদা এই পাঁচ জেলায় বাড়ি বাড়ি শৌচালয় তৈরির কাজ ৩০ শতাংশরও কম।
সবচেয়ে কম হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ১৩ শতাংশ কাজ হয়েছে চলতি আর্থিক বছরে নভেম্বর মাস পর্যন্ত। যদিও পুরুলিয়া, হুগলি, আলিপুরদুয়ার এই তিন জেলায় এই কাজ ১০০ শতাংশ লক্ষ্য পূরণ করা গেছে। জিটিএ এর অধীনেও ১০০ শতাংশ লক্ষ্য পূরণ করা গেছে বলেই পঞ্চায়েত দফতরের রিপোর্ট বলছে।
পঞ্চয়াতে দফতরে রিপোর্ট বলছে, চলতি আর্থিক বছরে রাজ্যে সাড়ে ৬ লক্ষ বাড়িতে শৌচালয় তৈরির লক্ষ্যমাত্রা স্থির করা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত হয়েছে মাত্র ২ লক্ষ ৮৪ হাজার ৬৪৯ টি বাড়িতে।
আরও পড়ুন, লুসেইলেই শুরু, লুসেইলেই শেষ! সৌদির কাছে হারার মাঠেই ইতিহাস মেসিদের
যা নিয়ে চিন্তিত নবান্নের শীর্ষ মহলের আধিকারিকরা। আর তার জন্যই বাড়ি বাড়ি শৌচালয় তৈরির কাজ অবিলম্বে শেষ করার নির্দেশ বলা হয়েছে নবান্নের তরফে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে বলেই সূত্রের খবর।
এর পাশাপাশি জেলাগুলিকে সতর্ক করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা, গ্রামীণ সড়ক যোজনার মতো প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্রীয় অর্থ পেতে যথেষ্ট হিমশিম খেতে হয়েছে নবান্নকে। যে প্রকল্পগুলিতে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ রয়েছে, তা যাতে দ্রুত খরচ করা হয় সেই বিষয়ে এবার তৎপর নবান্নের শীর্ষ মহল। তার জন্যই এবার এক এক করে প্রকল্প ধরে ধরে জেলাগুলিকে বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে বলেই মনে করছে প্রশাসনিক মহলের একাংশ।