রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতিটি জেলার জন্য এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাওয়া হয়েছে৷ অর্থাৎ মোট বাইশটি জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশন৷
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হাইকোর্টের এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে ভোটের কথা বললেও বাহিনীর পরিমাণ অথবা প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিতে হবে কি না, তা নিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলা হয়নি৷ তাই কমিশন ন্যূনতম বাহিনীই প্রতিটি জেলার জন্য চেয়ে পাঠিয়েছে৷
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের মধ্যেই হঠাৎ রাজ ভবনে সৌরভ, তুমুল জল্পনা
জানা গিয়েছে, নির্বাচনের কাজে এক কোম্পানি বাহিনীর অর্থ ৯০ জন জওয়ান৷ প্রতিটি বাহিনীর ১০ শতাংশ জওয়ানকে রিজার্ভ রাখা হয়৷ এই হিসেবে সবমিলিয়ে হাজার দুয়েক জওয়ানকে পাওয়া যাবে ২২টি জেলার ভোটের নিরাপত্তার জন্য৷ জেলার বিস্তৃতি যত ছোটই হোক না কেন, এক কোম্পানি জওয়ান দিয়ে কীভাবে গোটা জেলায় নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ বিশেষত, যেভাবে পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্বে জেলায় জেলায় হিংসার ঘটনা ঘটছে, সেখানে এই সংখ্যক বাহিনী পর্যাপ্ত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হিসেবই বলছে, পঞ্চায়েত ভোটে মূল এবং সহায়ক মিলিয়ে রাজ্যে মোট বুথের সংখ্যা ৭৩ হাজার ৮৮৭৷ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও জায়াগায় ন্যূনতম হাফ সেকশন বা চারজনকে নিরাপত্তার দায়িত্বে রাখতেই হবে৷ সেই হিসেব ধরলে হাজার দুয়েক জওয়ানকে দিয়ে খুব বেশি হলে পাঁচশো বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা সম্ভব৷ কমিশন যে হিসেবে বাহিনী চেয়ে পাঠিয়েছে, তা দেখে বিরোধীরা ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হয় কি না, সেটাই এখন দেখার৷