বিষয়টি ঘটে আজ সকাল আটটা নাগাদ। পৃথ্বীশ সাহা সল্টলেক বিধাননগর পূর্ব থানা এলাকা থেকে ছেলেকে রোজের মতই আজও স্কুলে এনেছিলেন।ছেলে ঈশানের(১৩) রিপোর্ট কার্ড খারাপ হওয়ায়,বাবা পৃথ্বীশ বেজায় ক্ষুব্ধ হয়। ছেলেকে স্কুলের বাইরেই বকাবকিও করেন।
advertisement
তারপর স্কুলের গেটের বাইরে ছেলের হাতে ৫০ টাকা দিয়ে,তাকে বাড়ি চলে যেতে বলেন। এই বলে ছেলের ক্লাসের বই নেওয়ার জন্য স্কুলের ভেতরে ঢোকে পৃথ্বীশ। বেলা ১০টায় স্কুল থেকে বেরোনোর পর সম্বিত ফেরে পৃথ্বীশ বাবুর। তিনি বেরিয়ে দেখেন স্কুলে গেটের বাইরে তার ছেলে নেই।ব্যাস তিনি প্রবল মানসিক চাপ এবং উৎকণ্ঠা নিয়ে ছেলেকে এদিক-ওদিক খোঁজা শুরু করেন।
আরও পড়ুন - পাঠান-এর গানে নাচছে খুদে পাঠান! শাহরুখ খানকে চমকে দিল ইরফান পাঠানের ছেলে
ছেলে হারিয়ে গেছে স্কুলের প্রিন্সিপাল থেকে আরম্ভ করে বন্ধুবান্ধবের মধ্যে খোঁজ খোঁজ রব পড়ে যায় এবং আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। সঙ্গে সঙ্গে শেক্সপিয়ার সরণি থানার দ্বারস্থ হন পৃথ্বীশ সাহা। শেক্সপিয়ার সরণি থানা সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন সিসি ক্যামেরা খুঁজে দেখতে শুরু করে। অবশেষে পুলিশ ছেলেটিকে চিহ্নিত করতে পারে। ঈশানকে শেক্সপিয়ার সরণী থানার পুলিশ রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করে। তারপর তাকে ঈশানের সল্টলেকের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে বাবা মার হাতে তুলে দিয়ে আসে পুলিশরা।
তবে ক্ষুব্ধ হয়ে ছেলেকে রাস্তার মধ্যে ছেড়ে দেওয়া ,সেটা নিয়ে কিন্তু রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন অন্যান্য অভিভাবকেরা। পড়াশোনায় ছেলেমেয়েদের উপর মাত্রাতিরিক্ত প্রত্যাশা চাপ না নিতে এবং না নিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে বলে মনে করেন সবাই।
SHANKU SANTRA