এতদিন হয়তো শুনে এসেছেন সমস্যা দূর করতে জ্যোতিষীর কাছে গেলেহাতের আঙুলে আংটি ধারণ করতে বলতেন তাঁরা। এবার এমনই কথা শুনবেন চিকিৎসকের মুখেও।
সম্প্রতি এমনই অত্যাধুনিক এক আংটির ট্রায়াল শুরু হয়েছে রাজ্যের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে। ট্রায়ালে থাকা এই আংটির মাধ্যমে রোগীর হৃদযন্ত্রের সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করবে।
২৪ ঘণ্টা, ৭ দিন শরীরের সব তথ্য অর্থাৎ সফটওয়্যারের মাধ্যমে হৃদযন্ত্রের স্পন্দন, শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা, পালস্, রক্তচাপ সব নির্ণয় হবে। এই আংটি আঙুলে পরে থাকলে রোগীর হৃদযন্ত্রের যে কোনো অস্বাভাবিকতা দেখলেই দ্রুত ১০ টি মোবাইল ফোনে সতর্ক করবে।
advertisement
আরও পড়ুন- কেমন আছেন মিঠুন চক্রবর্তী? জানালেন দেবশ্রী, নায়ককে দেখতে হাসপাতালে হাজির নায়িকা
এমনকী রোগীর চিকিৎসককেও দেওয়া হবে সতর্কতার বার্তা। কিন্তু কীভাবে কাজ করে এই নয়া যন্ত্র? ভারতীয় এক সংস্থার তৈরি এই যন্ত্রগুলো স্বয়ংক্রিয়। নিজে থেকেই শারীরিক অবস্থার কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসক থেকে শুরু করে রোগীর আত্মীয়কে বার্তা দিতে সক্ষম।
এছাড়াও বাড়তি সতর্কতার জন্য রয়েছে ব্যাকআপ টিম। আংটির মাধ্যমে রোগীদের সমস্ত তথ্য পৌঁছে যাচ্ছে সেই ব্যাঙ্গালোরে টিমের কাছে। সেই টিম কোনও কিছুর ইঙ্গিত পেলেই তৎক্ষণাৎ সতর্ক করবে।
ট্রায়াল হিসেবে এই পর্যন্ত এস এস কে এম হাসপাতালের ২৫ জন রোগীকে দেওয়া হয়েছে এই আংটি। তাঁদের উপর ট্রায়াল চলছে প্রায় ৩ মাসের বেশি সময় ধরে।
ট্রায়াল চলাকালীন তাঁদের হাতের আঙুলে থাকা আংটি এবং শারীরিক প্যারামিটার এখনও সঠিক ভাবেই কাজ করছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
আরও পড়ুন- সন্দেশখালি নিয়ে নবান্নের থেকে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল, দ্রুত জারি হবে বিবৃতি
এই বিষয় এস এস কে এম হাসপাতালের ক্যার্ডিওভাসকুলার সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক সান্তনু দত্ত জানান, এই আংটি পড়ে থাকলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী নিজেই নিজের স্মার্টফোনের মাধ্যমে বুঝতে পারবেন শারীরিক অবস্থার বিষয়ে। আর শারীরিক অবস্থার কোনও অবনতি হলেই অ্যালার্টের মাধ্যমে আমরাও জেনে যাব। এতে হৃদযন্ত্রের সমস্যার কারণে মৃত্যুর হার কমবে।
