সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে তিনি পোস্ট করে লেখেন, “আমি এই অভূতপূর্ব সাফল্যে সত্যি গর্বিত। ৫ দিনে মোট ১৭৫টি গলব্লাডার স্টোন অপারেশন করা হল। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় যে ডাক্তাররা অধ্যাবসায় দিয়ে কোনও কাজ করলে তা সম্ভব করেই ছাড়েন। আমি চাইব রাজ্যের বাকি হাসপাতাল গুলিও এই একই ধরনের তৎপরতার সঙ্গে কাজ করুক। আমি এসএসকেএম কর্তৃপক্ষকে অন্তর থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “রাজ্য কেন দেশের মধ্যেই এত মানুষের ল্যাপরোস্কপিক অপারেশন প্রথম।” “এশিয়া এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে এটা মডেল হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে।”
advertisement
ভূয়সী প্রশংসা মুখ্যমন্ত্রীর
আরও পড়ুন: নদীতে মিশছে ছাই! মাছ মরে যাওয়ার আশঙ্কা! মুড়িগঙ্গায় ডুবন্ত বাংলাদেশি বার্জ থেকে বিপদের ভয়
প্রসঙ্গত, এসএসকেএম হাসপাতালে পাঁচ দিনে প্রায় ২০০ মানুষের গল ব্লাডার স্টোনের মাইক্রোস্কপিক অপারেশন হয়। গত বৃহস্পতি এবং শুক্রবার ছিল সরকারি ছুটি আর সেই ছুটির দিনেই মালদহ, মুর্শিদাবাদ, দুই মেদিনীপুর, বর্ধমান , উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, দার্জিলিং-সহ একাধিক জেলা থেকে গলব্লাডার স্টোনের রোগীরা এসেছিলেন এসএসকেএম হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: মিড ডে মিলে মার্চ পর্যন্ত সপ্তাহে আরও ২ দিন বাচ্চাদের পাতে গোটা ডিম, সিদ্ধান্ত রাজ্যের
গত পাঁচদিনের এসএসকেএম যেন অস্ত্রোপচারের কুম্ভ হয়ে ওঠে। এসএসকেএমে হাসপাতালের ডিরেক্টর মণিময় বন্দ্যোপাধ্যায়, জেনারেল সার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. অভিমন্যু বসু, অধ্যাপক ডা. দীপ্তেন্দ্র সরকার-সহ শল্যচিকিৎসা বিভাগের সমস্ত চিকিৎসকরা সবাই একসঙ্গেই এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে এগিয়ে আসেন। এই কর্মযজ্ঞে এমনভাবে রস্টার সাজানো হয়েছিল, যেন এই নয়া রেকর্ডের ভাগীদার হতে পারেন সকলে। প্রত্যেকেই একাধিক অস্ত্রোপচার করেছেন বিগত পাঁচদিনে।