এসএসকে এম-এ নিয়ে আসার পর দ্রুত শিশুকে এমারজেন্সি বিভাগে নিয়ে গিয়ে গলায় আটকে থাকা কৌটো বের করা হয়। কিন্তু তখনই ইএনটি চিকিৎসক সৌত্রিক কুমার দেখেন, শিশুর অক্সিজেন স্যাচুরেশন প্রায় শূন্য হয়ে গিয়েছে। সেই অবস্থায়ই শিশুকে কোলে নিয়ে ছুটে ওটিতে যান চিকিৎসক, দেওয়া হয় অক্সিজেন! বর্তমানে শিশু এসএসকেএম হাসপাতালের মেন ব্লকে ভেন্টিলেশনে চিকিৎসাধীন। আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার পর শিশুর শারীরিক অবস্থার সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানানো যাবে বলে জানান হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চিকিৎসক অরুনাভ সেনগুপ্ত।
advertisement
আরও পড়ুন: হাঁটুর বয়সি নায়কের ঠোঁটে ঠোঁট গুঁজে চুমু, বিতর্কে বলিক্যুইন রেখা
এর আগেও বহু অসাধ্য সাধন করেছে এসএসকেএম! গতবছর, উত্তর দিনাজপুর ইটাহার এলাকার ডাংগি হাটগাছি গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল আলির দু'বছরের শিশুপুত্র মোস্তাকিম আলির হঠাৎ করেই খেলতে খেলতে তীব্র শ্বাসকষ্ট ও বমি শুরু হয় তার। কিছু না বুঝতে পেরে প্রথমে স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে, সেখান থেকে রায়গঞ্জ মেডিকেল কলেজ পরে সেখান থেকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে যায় শিশুর পরিবার। এক্স-রে করলে দেখা যায় শ্বাসনালীর ডান দিকে একটি পেরেক আটকে আছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে শিশুটিকে তড়িঘড়ি রেফার করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। শনিবার বিকেলে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে বেরিয়ে ভোররাতে এসএসকেএম হাসপাতালে পৌঁছায় শিশুর পরিবার। রবিবার সকালে শুরু হয় যুদ্ধ। এসএসকেএম হাসপাতালে ইএনটি বিশেষজ্ঞ অরুনাভ সেনগুপ্তের নেতৃত্বে চার সদস্যের চিকিৎসক দল দু'ঘণ্টার জটিল অস্ত্রোপচার করে ব্রঙ্কোসকপির মাধ্যমে পেরেকটিকে শিশুটির গলা থেকে বের করতে সক্ষম হয়। পেরেকটি বেরিয়ে আসার পর চিকিৎসকদের চক্ষু চড়কগাছ! প্রায় আড়াই ইঞ্চি লম্বা পেরেকটি কিছুটা বাঁকা অবস্থায় ছিল। এক কথায় বললে জীবন-মরণ সংকট ছিল শিশুটির।