মঙ্গলবার আদালতে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী প্রাথমিক শিক্ষকদের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, ‘‘আদালত যদি দেখে যে, যথেচ্ছ দুর্নীতি হচ্ছে, প্রশাসনিক কর্তারা যুক্ত আছেন, মন্ত্রী যুক্ত আছেন তখন আমরা (বিচারপতিরা) কী করব? কিছুই করব না?’’। ‘‘পেজ ২৩৭ দেখুন। ৪২৯৪৯ নিয়োগের RTI উত্তর সংক্রান্ত নথি। বোর্ডের কাছ থেকেই কৈফিয়ত চাইব যথাসময়ে’’, মন্তব্য বিচারপতির।
advertisement
‘‘যদি একজন বিচারপতি দেখেন যে টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম হয়েছে, দুর্নীতি হয়েছে সেক্ষেত্রে একজন বিচারপতি কি করবেন? চোখ বন্ধ করে থাকবেন?’’-প্রাথমিক শিক্ষকদের আইনজীবীকে প্রশ্ন বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর।
প্রাথমিক শিক্ষক দের আইনজীবী অনিন্দ্য মিত্র বলেন, ‘‘প্রাথমিক দুর্নীতির জন্য দায়ী প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। আদালত যাকে দুর্নীতিবাজ মনে করছে সেই প্রাথমিক পর্ষদের কাছেই আবার পাঠাচ্ছে প্রক্রিয়া নতুন করে করার জন্য। এটা কী ধরনের ন্যায় বিচার। প্রাথমিক পর্ষদের জন্য যদি একটা দুর্নীতি হয়ে থাকে। সেই পর্ষদের কাছে ফের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পাঠালে আরও একটা দুর্নীতি হতে পারে’’।
বিচারপতি চক্রবর্তী জানান, ‘‘নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে কোথায় পাঠানো উচিত?’’। উত্তরে শিক্ষকদের আইনজীবী বলেন, ‘‘অন্য কোনও সংস্থার কাছে’’।
বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী জানান, ‘‘৫ বছর পর আপনারা এসে বলছেন আপনাদের রুটি, মাখন কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বলছেন দুর্নীতি হয়েছে অথচ এখানে হস্তক্ষেপ করতে বারণ করছেন।’’
৩ জুলাই ফের শুনানি হবে এই মামলার।