প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ জানায়, ২০১৬ সালের এসএসসি-তে চাকরি পাওয়া ১৮ জন দৃষ্টিহীনেরও চাকরি বাতিল হয়েছে। মূল মামলাকারীদের আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘শুধুমাত্র ইনসার্ভিস শিক্ষকেরা স্বস্তি পেয়েছে। বেতন ফেরত দিতে হবে চিহ্নিত অযোগ্য চাকরি প্রাপকদের৷ তা-ও ১২% সুদ-সহ।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের এসএসসি-র মোট নিয়োগপত্র ছিল ২৫,৮৪৪৷ মোট নিয়োগ ২৫,৭৫৩৷ ক্যানসার রোগী সোমা দাসের চাকরি বহাল রয়েছে। ইনসার্ভিস ৪২৫(প্রায়) জন ফিরবেন তাঁদের পুরনো কর্মস্থলে। সর্বমোট চাকরি বাতিল তাই ২৫,৩২৭ জনের ৷
advertisement
বিভিন্ন নথি থেকে এবং হাইকোর্ট বিচারপতি দেবাংশু বসাক ডিভিশন বেঞ্চের রায়ের কপি দেখে জানা যায়, মোট অনিয়মের চাকরি ৮৩২৪ জনের। এর মধ্যে OMR কারচুপি ও র্যাঙ্কজাম্প চাকরি ৪৩২৭ জনের৷ SSC সুপারিশ ছাড়াই চাকরি ২৮২৩ জনের ৷ প্যানেল মেয়াদ শেষে চাকরি ১১৭৪ জনের৷ এদের বেতন ফেরত দিতে হতে পারে, তবে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কপি দেখলে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হবে বলে জানা গিয়েছে৷ পাশাপাশি, যাঁরা এতদিন চাকরি করেছেন, বেতন পেয়েছেন, তাঁদের বেতন ফেরত দিতে হবে না।
SC Verdict on SSC Recruitment: ২৫,৩০০ চাকরি বাতিল! ২০১৬ সালের SSC-র পুরো প্যানেলই খারিজ আদালতে, হাইকোর্টের রায়ই বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
প্রসঙ্গত, এসএসসির শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। গত বছর এপ্রিল মাসে কলকাতা হাই কোর্ট ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরো প্যানেল বাতিল করে দেয়। এর ফলে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি যায়। চাকরিহারা হন একাদশ-দ্বাদশ, নবম-দশমের শিক্ষক এবং গ্রুপ ডি ও গ্রুপ-সির কর্মীরা। হাই কোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য-সহ একাধিক পক্ষ যায়৷ ডিভিশন বেঞ্চে ওঠে মামা৷ সেই মামলারই রায়পর্ব ছিল আজ, বৃহস্পতিবার৷
আরও পড়ুন: এসএসসি-র ২৬০০০ চাকরি কি বাতিল হবে? রাত পোহালেই সুপ্রিম কোর্টে রায়দান, তাকিয়ে গোটা দেশ
কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য শুনানিতে বার বার এই প্রশ্ন ওঠে। সঠিক ভাবে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করা সম্ভব কি না সেই প্রশ্নও তোলে আদালত। এই মামলার শেষ দিনের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেছিলেন, ‘‘যোগ্য-অযোগ্যদের নির্ণয় করা খুবই কঠিন।’’