হাইকোর্টের নির্দেশের পরই পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীর বেতন বন্ধ হয়ে যায়। পরিচালন সমিতির বৈঠকে তাঁর বেতন বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অঙ্কিতাকে বরখাস্ত ও বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বেতন হিসেবে নেওয়া ৪১ মাস পূর্ণ এবং ২ আংশিক মাসের বেতন ফিরিয়ে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল অঙ্কিতাকে। দুই কিস্তিতে টাকা ফেরানোর নির্দেশ রয়েছে হাইকোর্টের।
advertisement
আরও পড়ুন: সারাদিন ক্লান্তি কাটছে না? আপনার শরীরে এই ভিটামিনের অভাব হতে পারে!
প্রথম কিস্তির প্রায় ৮ লক্ষের কাছাকাছি টাকা হাই কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল কাছে জমা দিয়েছেন অঙ্কিতা অধিকারী। ৬ জুন প্রথম কিস্তির টাকা জমা দিয়েছেন মন্ত্রী-কন্যা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে প্রথম কিস্তির টাকা জমা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন, পরেশ অধিকারীর আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য্য।
আরও পড়ুন: রাজ্য সেকেন্ডারি এডুকেশন সার্ভিস সিলেকশনে ৩৫৩৯ পদে শিক্ষক নিয়োগ, জানুন
রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে বেআইনি ভাবে চাকরিতে নিয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। আরেক চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকারের মামলার জেরেই স্কুল শিক্ষিকার চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় অঙ্কিতাকে। ২০১৬ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষা হয়েছিল। ২০১৭ সালের ২ মে সেই পরীক্ষার ফল বেরোয়। অভিযোগ, SSC-র প্রথম তালিকায় অঙ্কিতা অধিকারীর নামই ছিল না। ২০ নম্বরে নাম ছিল ববিতা সরকারের। এর পর যখন নতুন করে মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয় এসএসসি-র তরফে, তাতে নিজের নাম ২১ নম্বরে দেখতে পান ববিতা।