সিবিআইয়ের দাবি, কেউ দিয়েছেন দু-একটি উত্তর, কেউ আবার সাদা খাতা জমা করেছেন। নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-- শিক্ষাঙ্গনের সব চাকরির ক্ষেত্রেই এই দুর্নীতি হয়েছে। বেআইনি ভাবে টাকা দিয়ে এই চাকরি পেয়েছেন আট হাজারের বেশি। এদিন কারা সুপারিশপত্র এবং নিয়োগপত্র পেয়েছেন তাঁদের তালিকা তৈরি করতে নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের টার্গেট ৫০০! বিজয়া সম্মিলনী সভাতেই পঞ্চায়েত ভোটের মহড়া
সিবিআই আদালতে দাবি করেছে, নবম-দশমে ৯৫২ জন, একদশ-দ্বাদশে ৯০৭ জন, গ্রুপ সি ৩৪৮১ জন এবং গ্রুপ ডি-তে ২৮২৩ জন ওএমআর জালিয়াতির মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। অর্থাৎ সিবিআইয়ের অভিযোগ অনুযায়ী নিয়ম ভেঙে চাকরি দেওয়া হয়েছে মোট ৮১৬৩ জনকে। সিবিআইয়ের রিপোর্ট দেখে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, 'বেআইনি পদ্ধতিতে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে আগামিদিনে আদালত কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে।' এই নির্দেশ কমিশনের ওয়েবসাইট ও সংবাদমাধ্যমেও প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চতুর্থীতেই জনজোয়ারের সম্ভাবনা, ভিড় সামলাতে বিশেষ ভাবনা কলকাতা পুলিশের
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'টাকার বিনিময়ে চাকরি প্রাপকেরা নিজেরা খুব ভাল মতো জানেন সত্যি টা কী! আদালত তাঁদের অনুরোধ করছে চাকরি থেকে পদত্যাগ করুন। ৭ নভেম্বরের মধ্যে বেআইনি চাকরি প্রাপকদের পদত্যাগের একটা সুযোগ দিচ্ছে আদালত৷ বেআইনি চাকরি পেয়েও যদি পদত্যাগ না করেন ৭ নভেম্বর মধ্যে, তদন্তে যদি ধরা পরে জালিয়াত চাকরি, তাহলে কঠোর পদক্ষেপ করবে হাইকোর্ট।'