সূত্রের খবর, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন অর্পিতা। অন্যদিকে, কিছুদিন আগেই ভুবনেশ্বর AIIMS-এ শারীরিক পরীক্ষা করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। এই টেস্টে জানা যায়, একাধিক ক্রনিক সমস্যায় ভুগছেন তিনি। তাঁকে ভর্তি করা হয়নি। তাঁকে জোকা ESI হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দুদিন অন্তর। জানা গিয়েছে, সেভাবে তাঁর ওষুধে কোনও বদল করা হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজেকে অনেকটাই সামলে নিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
advertisement
আরও পড়ুন: গয়নার বিপণীতে পার্থ, পাশে বসা মহিলা কি অর্পিতা! ছবি ঘিরে তুমুল জল্পনা
রবিবার সকাল পৌনে এগারোটা নাগাদ অর্পিতা মুখোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য বেরোন ইডি আধিকারিকরা। গত শুক্রবার সকালে জোকা ইএসআই-তে প্রথমে অর্পিতাকে গাড়ি থেকে নামানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। সেই সময়ই গাড়ি থেকে নামতে চাননি অর্পিতা। গাড়িতে বসেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তবুও ইডির দুই মহিলা আধিকারিক অর্পিতাকে নামানোর চেষ্টা করেন, সেই সময় গাড়ি থেকে পড়ে যান তিনি। এরপর কোনওক্রমে তাঁকে ওঠানো হয়। হুইল চেয়ারে করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালের ভিতরে। এদিন তেমন ঘটনা যাতে না ঘটে, তাই সতর্ক রয়েছেন ইডি আধিকারিকরা।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রিসভা ও তৃণমূলের সমস্ত পদ থেকে সরানো হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। তার ঠিক পরেরদিনই মুখ খুলেছেন পার্থ। যদিও কার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তিনি করেছেন, তা স্পষ্ট নয়। ফলে এদিন পার্থ আবার মুখ খোলেন কিনা, সেটাই দেখার।