তাঁদের কেউ বলছেন, ”উনি মানবিক। ওঁর বক্তব্য শুনে আমরা আশ্বস্ত হলাম। আগামিকাল থেকে স্কুলে যাব।” আবার কেউ বলছেন, ”মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য।”
এদিন বৈঠকে মমতা বলেন, ‘আমার প্ল্যান এ, বি, সি সব তৈরি৷ আপনারা নিশ্চিন্তে থাকুন, ভরসা রাখুন৷ মাথার উপরে আমরা আছি, কারও প্রতি কোনও অবিচার হবে না৷ এটা আমি কথা দিয়ে গেলাম৷’ একই সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, সুপ্রিম কোর্ট যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা দেয়নি৷ রাজ্য সরকারকেও সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর৷ সিবিআই-এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আদালত রায় দিয়েছে বলেই দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রায়ের আরও সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়ে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানাবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ ততদিন পর্যন্ত চাকরিহারা শিক্ষকদের স্কুলে গিয়ে স্বেচ্ছায় পড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ সুপ্রিম কোর্টের কাছে রাজ্য সরকার যোগ্য এবং অযোগ্যদের তালিকা চাইবে বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
advertisement
২৫ হাজারের বেশি শিক্ষকদের চাকরি যাওয়ার জন্য এ দিন সরাসরি সিপিএম সাংসদ এবং আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সহ বিরোধীদের দিকেই দায়ী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর অভিযোগ ২০২২ সাল থেকে এই খেলা শুরু হয়েছিল৷
এদিকে, স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)-র ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় সুপ্রিম কোর্টে নতুন করে আবেদন করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চের রায়ের ‘মডিফিকেশন’ চাইল পর্ষদ। তাদের আবেদন, যত দিন না নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে, অথবা চলতি শিক্ষাবর্ষের শেষ পর্যন্ত ‘যোগ্য’ চাকরিহারাদের চাকরিতে বহাল রাখা হোক।