এই পরিস্থিতি তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন আরও অনেকেই। ইডি সূত্রে খবর বিভিন্ন জেলার বেশ কিছু নেতার থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে এই টাকা পৌঁছে যেত। পার্থকে জেরা করেই এমন তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা। ইডির নজরে সেই সমস্ত নেতাও রয়েছেন। যদিও এখনও পর্যন্ত তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ইডির নজরদারি আছে সেই সমস্ত নেতার উপরে।
advertisement
আরও পড়ুন: রাতভর তল্লাশি, অর্পিতার বেলঘরিয়ায় ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার প্রায় ২৮ কোটি নগদ, ৫ কোটির সোনা!
জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে চাকরির সুপারিশ থেকে শুরু করে, নানা কাজের নামে এই টাকা জেলার পার্থ ঘনিষ্ঠ বেশ কিছু নেতার কাছ থেকে আসত। সেই টাকা পৌঁছে যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। ইডি সূত্রে খবর, পরবর্তী ক্ষেত্রে সেই সব নেতাদেরকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে যে, এই টাকা তাঁরা কেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পৌঁছে দিতেন। এই মুহূর্তে সেই সব নেতাদের উপরে শুধুমাত্র ইডির নজরদারি চলছে।
আরও পড়ুন: টাকার পাহাড়! কোটি কোটির বান্ডিল দেখে থ বাংলা, নেটপাড়ায় টালিগঞ্জ ভার্সেস বেলঘরিয়া 'যুদ্ধ'
বুধবার সন্ধে ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে তিনটে পর্যন্ত টাকা গোণা হয়েছে বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে। এখনও পর্যন্ত প্রায় ২৮ কোটি টাকা মতো উদ্ধার হয়েছে বেলঘরিয়া রথতলার ফ্ল্যাট থেকে। ৯টি টাকা গণনার যন্ত্র দিয়ে টাকা গোনা চলে। ইডি সূত্রে খবর, ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে। ৪ কোটি ৩১ লক্ষ টাকা মূল্যের সোনা উদ্ধার হয়েছে। ফ্ল্যাটে রাতভর তল্লাশির পর সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা ও সোনা ট্রাঙ্কে ভরে ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে স্ট্র্যান্ড রোডের এসবিআই সদর দফতরে। সেখানেই বাজেয়াপ্ত টাকা ও সোনা রাখা হবে ব্যাঙ্কের ভল্টে।