সিবিআই সূত্রের খবর, চন্দন মণ্ডলকে জেরা করে উঠে এসেছে একাধিক সাব এজেন্টের নাম। তেমনই এক সাবে এজেন্ট ছিলেন জনৈক। অভিযোগ, এই 'সন্তু'র মাধ্যমেই প্রসন্ন রায়কে মাঝেমধ্যে টাকা পাঠাতেন চন্দন।
আরও পড়ুন: চন্দন মণ্ডলের সঙ্গে কোন প্রভাবশালীর যোগ? নিয়োগ দুর্নীতির শিকড়ে পৌঁছতে মরিয়া CBI
এখনও পর্যন্ত চন্দন মণ্ডলের ৪টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খতিয়ে দেখে প্রায় দেড় কোটি টাকা মিলেছে বলে দাবি সিবিআইয়ের। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছাড়াও নগদেও সমান তালে লেনদেন চলত বলে অনুমান গোয়েন্দাদের।
advertisement
সোমবার চন্দন মণ্ডল-সহ পাঁচ এজেন্টকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হবে। ইডি-র হাতে ধৃত কুন্তল ঘোষকেও আলিপুরের সিবিআই বিশেষ চন্দন মণ্ডলের আদালতে পেশ করার কথা এদিন। তার আগের দিন অর্থাৎ, রবিবারও তাই চূড়ান্ত ব্যস্ত থাকল নিজাম প্যালেস চত্বর। এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ফের তলব করা হয় নীলাদ্রি ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে। দীর্ঘক্ষণ চলে জিজ্ঞাসাবাদ। তাঁদের বয়ানও রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: বাড়ছে আতঙ্ক! এবার অ্যাডিনোভাইরাসে মৃত্যু কলকাতার আড়াই বছরের শিশুর
এদিন কুন্তলের নাম না করে তাপস মণ্ডল বলেন, "১৯ কোটি যে নিয়ে রেখে দিয়েছে, তার কাছে ৫০ লক্ষ চাইলে অন্যায় হয়েছে? আসল দোষী কে সে তদন্তকারীরা বলবে। আমি তদন্ততে সহযোগিতা করব।" অন্যদিকে, সিবিআই এর অভিযোগ, কুন্তলের থেকে নীলাদ্রি ৬ লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু সেই টাকা কোথায় গেল? বিভিন্ন চাকরি প্রাথীদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন কুন্তল। সেই লিংক ধরেই নীলাদ্রিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। "
সোমবার কুন্তলকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার আগে ২৫ জন চাকরিপ্রার্থীর বয়ান রেকর্ড করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সিবিআইয়ের কাছে। এই ২৫ জনকে রবিবার নিজামে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে বয়ান রেকর্ড করছে সিবিআই। এই চাকরিপ্রার্থীদের থেকে কুন্তল, নীলাদ্রি সহ বাকিরা টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ফলে এদের বয়ান খুব গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া, রবিবার গ্রুপ সি মামলার ছয় এজেন্টকেও এদিন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
ARPITA HAZRA