নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। চলতি সপ্তাহের শুরুতে গ্রেফতার হন চন্দন। জানা গিয়েছে, ধৃত চন্দনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে শুধু উত্তর চব্বিশ পরগনার চাকরিপ্রার্থীদের টাকাই নয়, টাকা আসত দক্ষিণ দিনাজপুরের চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকেও।
আরও পড়ুন: সামনেই পুর নির্বাচন! হলদিয়ায় এবার প্রেস্টিজ ফাইট তৃণমূলের, ঢেলে সাজছে সংগঠন
advertisement
চন্দন মণ্ডলের চারটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। চন্দনকে জেরা করে জানা গিয়েছে, চন্দনের অ্যাকাউন্টগুলিতে উত্তর চব্বিশ পরগনার চাকরিপ্রার্থীদের টাকা আসামাত্রই, তা নিমেষে চলে যেত প্রসন্ন রায়ের কাছে। এরপরেই সিবিআই তদন্তে উঠে আসে, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে হঠাৎ দক্ষিণ দিনাজপুরের চাকরিপ্রার্থীদের টাকা ঢুকতে শুরু করে। কেন দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে এই বিপুল পরিমাণ টাকা চন্দন মণ্ডলের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল?সিবিআয়ের কাছে তার উত্তর দিতে পারেনি চন্দন। কারণ চন্দন মণ্ডলের টেরিটোরি ছিল শুধুমাত্র উত্তর ২৪ পরগনা।
সিবিআই সূত্রে খবর, চন্দনের টাকা শুধু প্রসন্নর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই ও তাঁর প্রসন্ন স্ত্রীয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই টাকা যেত। সিবিআইয়ের দাবি, চন্দন ও তাঁর আত্মীয়দের ২২ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে সিবিআই। এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেন খতিয়ে দেখছে সিবিআই। চন্দনের ৪ টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা মিলেছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের জন্য গুরুত্বহীন নয় কিছুই, এক পদক্ষেপেই বুঝিয়ে দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
চন্দন মণ্ডলের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টয়ে কখনও সাতন্ন লক্ষ টাকা, কখনও বা তার বেশি টাকাও আসত বিভিন্ন চাকরি প্রার্থীদের কাছ থেকে। চন্দন যেসব চাকরি প্রার্থীর থেকে টাকা নিত, সেই সব চাকরি প্রার্থীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কখনও কখনও সরাসরি টাকা যেত প্রসন্ন রায়ের কাছে। ফলে সেখান থেকেই চন্দন মণ্ডল ও প্রসন্ন রায়ের সরাসরি যোগের প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই। চন্দন ও প্রসন্নের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট লেনদেন খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। রবিবার স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল চন্দনকে।
ARPITA HAZRA