নির্ধারিত সময় বেলা ১১ঃ১৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই দুজনকে আলিপুর আদালতে নিয়ে আসে। আদালতে দুজনের আইনজীবী তাদের সওয়াল শুরু করেন। শান্তি প্রসাদের আইনজীবী সঞ্জয় দাশগুপ্ত বিচারকের কাছে জামিনের জন্য আবেদন করে। তিনি বলেন, তার মক্কেল বাগ কমিটির রিপোর্টে সমস্ত কিছু জমা দিয়েছেন। তাদের অযথা হাজতে রেখে হেনস্থা করা হচ্ছে। তারা আবার দুদিন হেফাজতের বিরোধিতা করে। তারা দাবি করেন, সিবিআই উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে দুজনকে হেনস্থা করছে। অন্যদিকে সিবিআইয়ের আইনজীবী শ্রীযুক্ত পান্ডে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন বাগ কমিটির রিপোর্টে শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং অশোক কুমার সাহাকে মূল অভিযুক্ত করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: 'অর্পিতা কে?', আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়...অবশেষে মুখ খুললেন মোনালিসা! তোলপাড় বাংলা
তিনি অভিযোগ করেন, এই দুজন সাক্ষীদের প্রভাবিত করেছে। এছাড়াও প্রচুর তথ্য প্রমাণ নষ্ট করে দিয়েছে। শান্তি প্রসাদ সিনহা এবং অশোক কুমার সাহা দুজনে উপদেষ্টা কমিটিতে ছিলেন। তারা উপদেশ দেওয়ার বদলে স্কুলের গ্রুপ সি এবং ডি কর্মীদের নতুন করে অবৈধ ভ্যাকেন্সি তৈরি করে নিয়োগ পত্র দিয়েছিলেন। ওই দুজন মিলে চেয়ারম্যানের ডিজিটাল সই নকল করে নিয়োগপত্রে দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: পরেশের সঙ্গে কোনও যোগ নেই, নারকেলডাঙ্গা প্রসঙ্গে সুকান্তকে কাশীপুর মনে করালেন কুণাল
এছাড়াও অভিযোগ করেন দুজনে সিবিআই-এর তদন্তে একদমই সাহায্য করছেন না। অভিযুক্তদের আইনজীবী বলেন মোট ছয় জন অভিযুক্ত রয়েছে। তাদেরকে সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদ থেকে আরম্ভ করে কিছুই করছে না। বিচারক সমস্ত কিছু শোনার পর অর্ডার রিজার্ভ রাখেন। অবশেষে দু'জনকে ২৪ শে আগস্ট অবধি আবার সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
