ইডি সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিভিন্ন সংস্থার ডিরেক্টর হিসেবে নাম ব্যবহার করা হয়েছে দিন-আনা-দিন খাওয়া মানুষের। তাঁদের কেউ দিনমজুর, কেউ বা রিক্সাচালক এবং প্রত্যেকেই হতদরিদ্র আর অল্পশিক্ষিত। নিজের বিধানসভা কেন্দ্র বেহালা পশ্চিমের এমন বহু দরিদ্র মানুষকে নিজের বিভিন্ন ভুয়ো সংস্থার ডিরেক্টর করেছিলেন পার্থ।
আরও পড়ুন: টালিগঞ্জ-নিউটাউন-সোদপুর, কোথাও বাদ নেই! কোমরবেঁধে তল্লাশি চালাচ্ছে সিবিআই
advertisement
এমন বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন ইডির তদন্তকারীরা। ইডি অফিসারদের দাবি, ওই সব দিনমজুর ও হতদরিদ্র মানুষের দাবি, তাঁরা যে কোনও সংস্থার ডিরেক্টর, তা তাঁদের জানা নেই। ওই সব পদের অধিকারী হিসাবে তাঁরা কখনও কোনও টাকাও পাননি। শুধু কোনও এক সময়ে তাঁদের দিয়ে এক ধরনের কাগজে টিপসই করিয়ে নেওয়া হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন রিকশাওয়ালাও রয়েছেন।
আরও পড়ুন: 'সঙ্গ দোষে মানুষ ফ্রাস্ট্রেশনে চলে যায়', কার উদ্দেশ্যে বললেন মমতা? তুঙ্গে জল্পনা
তদন্তে ইডি জেনেছে, এসএসসি দুর্নীতিতে সরকারি চাকরি বিক্রির কালো টাকা প্রায় ২০১টি ভুয়ো সংস্থায় বিনিয়োগ করে করে সাদা করা হয়েছিল। জেল হেফাজতে থাকা পার্থ-বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে ভুয়ো সংস্থার মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করার কৌশল জানা গিয়েছে। ভুয়ো সংস্থা মারফত শেয়ার কেনাবেচার মাধ্যমে প্রায় তিন কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে।
