কিন্তু পাড়ায় প্রতিদিন চোখের সামনে বড় হতে দেখা অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে এ সব ঘটনার কোনও যোগই ভাবতে পারছেন না প্রতিবেশী ও ছোটবেলার বন্ধুরা। বেশ কয়েক বছর একসঙ্গে কোচিং ক্লাসে থাকার সময় অর্পিতার সঙ্গে বন্ধুত্ব তৈরি হয়েছিল রাকেশ সাহার সঙ্গে। আজও সেদিনের কথা মনে পড়ে বলেই জানালেন অর্পিতার কোচিং ক্লাসের এই বন্ধু। টিভিতে কান্নায় ভেঙে পড়া অর্পিতাকে দেখে রীতিমতো কষ্ট পাচ্ছেন তিনিও। কোচিং ক্লাসের সেই বান্ধবী যে এত বদলে যাবে তা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না বন্ধুর।
advertisement
আরও পড়ুন: মেয়ের চাকরির পর এবার নিজে মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন পরেশ অধিকারী, নতুন দায়িত্বে সত্যজিৎ বর্মণ
২০০২ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। কোচিংয়ে পড়তে যাওয়া, হাসি ঠাট্টা, আড্ডা মারা সবই চলত। জানা যায়, বেলঘরিয়া মহাকালি গার্লস স্কুলে পড়তেন অর্পিতা। সাগর দত্ত স্কুলে প্রধান শিক্ষকের কাছে বাংলা পড়তে যেতেন। কিন্তু পরবর্তীতে আস্তে আস্তে অভিনয় জগতে আগ্রহ জন্মাতে শুরু করে বান্ধবী অর্পিতার। তারপর থেকেই আর দেখা হত না। পুজোর সময় যেতেন পুরনো পাড়ায়। সেই সময়ই একটু দেখা হত বলে জানান রাকেশ।
আরও পড়ুন: বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসার সাড়ে দশ মাসেই বাংলার পূর্ণমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, গুরুদায়িত্ব দুই দফতরের
কিন্তু ছোটবেলার বান্ধবী যে এরকম কাণ্ড ঘটাতে পারেন রাকেশ তা এখনও বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না পুরোপুরি। অর্পিতাকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে বলেও অনেক ক্ষেত্রেই মনে করছেন তাঁর বন্ধু। তবে সত্য জানার পাশাপাশি যদি কোনও দোষ করে থাকে অর্পিতা, তার শাস্তি মিলবে। হতাশার সুরে জানান অর্পিতার ছোটবেলার এই কোচিং ক্লাসের বন্ধু রাকেশ।