ইডি সূত্রে খবর, জেরায় তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন এই টাকা ব্যবহার করারও অনুমতি ছিল না অর্পিতার কাছে। টাকায় কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না তাঁর। যেটুকু টাকার ওপরে অর্পিতার দখল ছিল বা যে টাকা অর্পিতা ব্যবহার করতেন, সেগুলো তাঁর আয়কর রিটার্ন এবং অন্যান্য নথিতে উল্লেখ রয়েছে। তদন্তকারীদের দাবি, জেরা থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে, উদ্ধার হওয়া বিপুল কোটি কোটি টাকা এবং সোনার গয়না কোনও কিছুর উপরেই নিয়ন্ত্রণ ছিল না অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের।
advertisement
আরও পড়ুন: মিঠুনের পর এবার স্বয়ং সুকান্ত মজুমদার, তৃণমূল থেকে বেছে 'আলু' নেওয়ার দাবি! ভাঙছে শাসক দল?
ইডি সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে যে সমস্ত তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে, ইতিমধ্যেই একটি টিম সেই তথ্য যাচাই করার কাজ শুরু করেছে। আগামী বুধবার অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে পুনরায় আদালতে তোলা হবে সেই কারণে। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে অর্পিতার ফ্ল্যাটে এই বিপুল টাকা কার? কে রাখতেন? কে বা কারা ব্যবহার করতেন?
আরও পড়ুন: বিঘার পর বিঘা জমি, তোলা হচ্ছে পাঁচিল, অর্পিতার নতুন সম্পত্তির কথা জানলে মাথা ঘুরবে!
কলকাতা-জুড়ে একাধিক ফ্ল্যাট, তাতে কোটি কোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রা, সোনায় গয়না উদ্ধার হয়েছে। রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী তথা প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট গ্রেফতারের পরেই নাম উঠে আসে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের। গত সপ্তাহে অর্পিতার টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটির বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ও কয়েকদিন আগে বেলঘরিয়ার রথতলার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। চলছে জেরা।