পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে ৯ লাখে প্রাথমিক চাকরির অভিযোগ। বীরভূমের এজেন্টের মাধ্যমে হয় টাকার লেনদেন। খাতা ফাঁকা থাকায় এখন আতঙ্কিত চাকরি প্রাপকদের পরিজনেরা। চাকরি চলে যাওয়ার আতঙ্কে ভুগছেন অনেকে। তাই তারা অনেকেই এজেন্টের থেকে টাকা ফেরত চাইছেন। টাকা ফেরত চাইতেই এজেন্টের মুখে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম। চাঞ্চল্যকর অডিও ক্লিপ News18 বাংলা হাতেও এসেছে।অডিও ক্লিপের সত্যতা যাচাই করেনি News18 বাংলা।
advertisement
আরও পড়ুন SSC Scam: ৪৮ ঘণ্টাতেই ভোলবদল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের, গরম থেকে নরমের কারণ কী? তুমুল জল্পনা
কী রয়েছে কথোপকথনে? অডিও টেপে যে শোনা গিয়েছে-
আনারুল,(এজেন্ট, বীরভূম): টাকা দিতে পারব না। বোলপুরে আছি কাল আসতে পারেন।
ভুক্তভোগী: বেড়াতে নয়৷ টাকা ফেরত দিতে হবে।
আনারুল: এখন দিতে পারব না।
ভুক্তভোগী: আপনি যে বললেন খাতা সেরে রেখে দিচ্ছি। খাতা তো ফাঁক।
আনারুল: কীসের খাতা?
ভুক্তভোগী: ওই টেটে'র।
আনারুল: কার খাতা ফাঁক?
ভুক্তভোগী: সবারই খাতা ফাঁক। যে কটা পয়সা আমরা দিয়েছি তাদেরই খাতা ফাঁক।
আনারুল: চাকরিটা এমনি এমনি পেয়ে গেলেন নাকি!
ভুক্তভোগী: চাকরি তো চলে যাবে, ওই চাকরি থাকবে নাকি।
আনারুল: তার জন্য কি দায়ী আমি নাকি!
ভুক্তভোগী: খাতা সেরে রাখলে যেত না।
আনারুল: পার্থ চ্যাটার্জিকে বলতে হবে তাহলে।
ভুক্তভোগী: পার্থ চ্যাটার্জিকে আমি বলব না আপনি বলবেন?
আনারুল: পার্থ চ্যাটার্জিকে বলতে হবে।
ভুক্তভোগী: এরকম করলে আপনার নাম চলে আসবে৷
আনারুল: আসবে আসবে। ভয় দেখাচ্ছেন নাকি আমাকে?
ভুক্তভোগী: যদি ধরেন ভয় তো ভয়।
আবার অন্য একটি কথোপকথনে স্পষ্ট টাকার বিনিময়ে চাকরি করে দেওয়ার তথ্য। যেখানে এজেন্ট সরাসরি জানাচ্ছেন, দর কষাকষি শেষে ২ লক্ষ আরও পাওনা নাকি তাঁর বকেয়া। হাইকোর্টে চাকরি দুর্নীতির মামলাকারীদের হয়ে সওয়াল করা আইনজীবী ফিরদৌস সামিম বলছেন, "বহুস্তরীয় দুর্নীতি হয়েছে নিয়োগে। বীরভূম, মেদিনীপুরের একাধিক এজেন্টের নাম আমরা পরীক্ষার্থীদের থেকে জানতে পারছি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নজরদারিতে রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। সেরকম হলে আমরা বিষয়টি আদালতের নজরে আনব৷"