Food and Supply-এর IT বিভাগের রিফর্ম সেলের অস্থায়ী ডাটা অপারেটর বিভাগের টিম লিডার ছিল মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ ভট্টাচার্য। এই ডাটা অপারেটররা মূলত ওয়েবেল বা ইনফোসিস নামক সংস্থার মাধ্যমে ঠিকাকর্মী হিসাবে নিয়োগ হয়। কিন্তু সেই টিমের লিডার সৌরভ ভট্টাচার্য বছর খানেক আগে খাদ্য দফতর অস্থায়ী কর্মী হিসাবে কাজে যোগ দেয়। তার নিয়োগ খাদ্য দফতরের সরাসরি হয়েছিল। জানা গিয়েছে, সমস্ত ডাটা অপারেটররা যেখানে ১০-১৩ হাজার টাকা বেতন পান, কিন্তু সৌরভ মাসে ১,১০,০০০ (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকা বেতন পেতেন বলে সূত্রের খবর।
advertisement
আরও পড়ুনঃ আগামী বছর জগদ্ধাত্রী পুজোর দশমী ও একাদশীতে চন্দননগর আর অন্ধকার হবে না
মানিক ভট্টাচার্য গ্রেফতারের পরেই, ছেলে সৌরভের খোঁজে ইডি খাদ্য দফতরের গিয়েছিল। ইডি আধিকারিকেরা খাদ্যভবনের আধিকারিকদের কাছে তার সম্পর্কে খোঁজ নেন। তারপর থেকেই সৌরভ আর অফিসে আসছে না। এই সৌরভ ভট্টাচার্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২.৭ কোটি টাকার হদিস পেয়েছে ইডি। ওই টাকার সূত্র নিয়ে সৌরভকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছে তদন্তকারী সংস্থা।
আরও পড়ুনঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন নিয়ম! কী কী সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারীরা, জেনে নিন বিস্তারিত
খাদ্য দফতরের কর্মীরা আগে জানতেন না সৌরভ, মানিক ভট্টাচার্যের ছেলে। প্রথম থেকেই বেশ আভিজাত্যের সঙ্গেই অফিসে আসত। অফিসে মার্সিডিজ গাড়ি নিয়ে যেতেন। অনেকেরই মনে প্রশ্ন ছিল, ঠিকাকর্মী হয়ে কী ভাবে এই জীবনধারা চালানো সম্ভব? কত টাকা বেতন পেতেন সৌরভ? পরে অবশ্য সব প্রশ্নের জবাব মিলেছিল।
দফতরের কর্মীদের দাবি, রিফর্ম সেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন সবকিছু ডিজিটাল। ফলে, রাজ্যে খাদ্য সরবরাহ কোথায় কত হয়? তার হিসাব। রেশন কার্ড সংযোজন, নতুন তৈরি, বাতিল। সমস্ত কিছুই ওই দফতরের হাতে থাকে। এমনও দেখা গিয়েছে, একসঙ্গে প্রচুর রেশনকার্ড বাতিল হয়ে গিয়েছে। এ ছাড়াও POS মেশিনে সৌরভের আঙুলের ছাপ মেলেনি। সেগুলোর দায়িত্ব সৌরভের ছিল। খাদ্য দফতরের কর্মীদের মধ্যে প্রশ্ন, কী ভাবে ওই দায়িত্ব পেল সৌরভ? এ সব প্রশ্নই এখন ভাবাচ্ছে দফতরের কর্মীদের।
SHANKU SANTRA