সাড়ে ১৪ হাজারেরও বেশি শূন্য পদ রয়েছে এই উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য। হাইকোর্টের নির্দেশে ১৫৮৫ জন চাকরিপ্রার্থীর ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া কালীপূজার আগে থেকেই শুরু করেছিল এসএসসি। সেই ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া শুক্রবারই শেষ হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর ১৫৮৫ জন চাকরি প্রার্থীর মধ্য থেকে ১০০% উপস্থিতি না হলেও ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশের মধ্যে উপস্থিতি ছিল ইন্টারভিউতে।
advertisement
এখন কমিশন মেধাতালিকা তৈরি করার ব্যাপারে চূড়ান্ত তৎপরতা শুরু করছে। কমিশন সূত্রের খবর, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে মেধা তালিকা প্রস্তুত করে হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানানো হবে মেধা তালিকা প্রকাশের অনুমতির জন্য। হাইকোর্ট অনুমতি দিয়ে দিলেই প্রকাশ করে দেওয়া হবে উচ্চ প্রাথমিকের মেধা তালিকা। সেক্ষেত্রে মেধা তালিকা প্রকাশের পর নিয়োগ পত্র দিতে এবং গোটা প্রক্রিয়া শেষ করতে সর্বোচ্চ একমাস সময় লাগবে বলেই কমিশনের আধিকারিকদের দাবি।
আরও পড়ুন : আত্মীয়-পথচারীদের হাতে গণধর্ষিতা দিল্লির নাবালিকা! ১১ বছর পর এল সুবিচারের দিন
মূলত এই উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করেও অস্বচ্ছতা ও গরমিলের অভিযোগ উঠেছিল। হাইকোর্টের নির্দেশে প্রথম দফার মেধাতালিকা বা প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়। হাইকোর্টের নির্দেশেই পুনরায় নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার কথা বলা হয়। পুনরায় ভেরিফিকেশন, ইন্টারভিউ নেয় এসএসসি। সেই প্রক্রিয়া এবার একদম শেষ পর্যায়ে। তবে রাজ্য আপাতত উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়াকেই অগ্রাধিকার দিতে চায়। সেক্ষেত্রে হাইকোর্টের তরফে অনুমতি পেয়ে গেলেই আগামী শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই উচ্চ প্রাথমিকের নয়া শিক্ষক স্কুলে স্কুলে নিয়োগ করা সম্ভব হবে বলেই মনে করছেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন : জিমে যান না! ৫৭ বছরেও মিলিন্দ সোমনের ফিটনেস-মন্ত্র শুনলে অবাক হবেন
অন্যদিকে নবম - দশম, একাদশ - দ্বাদশেরও নিয়োগের নতুন বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার প্রস্তুতি ও ইতিমধ্যেই রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর নিতে শুরু করেছে। সূত্রের খবর, এর জন্য প্রয়োজনীয় বিধিও ইতিমধ্যে প্রস্তুত করে ফেলেছে এসএসসি। এখন সেই বিধি সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় রয়েছে।