ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগণার মধ্যমগ্রামে৷ একটি নামী মলে কয়েক মাস আগে ওই জিম খোলা হয়েছিল৷ প্রচারে ব্যবহার করা হয় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়কে৷ ওই জিম তাঁর নিজের বলেও শ্রাবন্তী প্রচার বার্তায় জানিয়েছিলেন বলে দাবি অভিযোগকারীদের৷
advertisement
অভিযোগ, দি ফিটনেস এম্প্যায়ার নামে ওই জিমে ভর্তির জন্য প্রথমে সাড়ে ৭ হাজার টাকা করে প্রত্যেকের থেকে নেওয়া হয়৷ পরে পার্সোনাল ট্রেনারের জন্য আরও চার হাজার টাকা করে নেয় জিম কর্তৃপক্ষ৷ এর কয়েকদিন পরেই হোলির ছুটি দেওয়া হয় জিমে৷ অভিযোগ তার পর থেকে আর জিম খোলেনি৷ বিভিন্ন ভাবে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও টাকা ফেরত না পেয়ে এ দিন মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন বেশ কয়েকজন। তাঁদের দাবি, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের মতো জনপ্রিয় অভিনেত্রীর কথায় ভরসা রেখেই তাঁরা ওই জিমে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: 'সরকারি ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল দরকার', মঞ্চে গানের বদলে এমন বার্তা কেন অরিজিতের
যদিও গোটা ঘটনায় নিজের যোগ অস্বীকার করে শ্রাবন্তী বলেন, 'ওই জিমে আমার সঙ্গে আরও তিনজন পার্টনার ছিলেন। যাঁরা জিমে যোগ দিয়েছিলেন তাঁরা সাধারণ মানুষ, তাঁদের কোনও দোষ নেই। তাই যারা সাবস্ক্রিপশন দিয়ে এখানে ভর্তি হয়েছিলেন এই মাসের শেষে অর্থাৎ এপ্রিল মাসের শেষের মধ্যে তারা তাদের সমস্ত টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন। আমার কো পার্টনারদের সঙ্গে আমার আলোচনা হয়েছে। যেহেতু বিষয়টি মিটতে একটু সময় লাগবে তাই জন্য এই মাসটার সময় চেয়ে নিচ্ছি। তবে এই মাসের শেষে সবাই তাঁদের জমা দেওয়া টাকা পেয়ে যাবেন।'
অভিনেত্রী আরও বলেন, 'আমি যেহেতু আমার অভিনয় জগত নিয়ে বেশ ব্যস্ত রয়েছি, নানা কাজ হাতে রয়েছে। তাই আমি সময় দিতে পারছিলাম না এবং ছয় মাসের উপর হল আমার এই জিমের সঙ্গে সেভাবে কোনও সম্পর্ক নেই। কো পার্টনাররাই দেখছিলেন। আমি আর্থিকভাবে এই জিম থেকে কোনওভাবেই লাভবান হইনি। যেহেতু এই ব্যবসায় লাভ হচ্ছিল না, তাই সবাইকে তাঁদের পাওনা গন্ডা মিটিয়ে আপাতত জিমটি বন্ধ করে দেওয়া হবে।'
সহ প্রতিবেদন- জিয়াউল আলম