মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতর গোটা দেশের ম্যালেরিয়া আক্রান্তের যে সাম্প্রতিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা গেছে,এপ্রিল পর্যন্ত রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১৬০১ জন। আর তার পরের দুমাসে,অর্থাৎ মে,জুন মাসে ম্যালেরিয়া আক্রান্ত প্রচুর বেড়ে ৪০৬৮ জন। ফলে ওই দুমাসে রাজ্যে ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ২৪৬৭ জন।
গত দু'বছর ধরে যেভাবে নভেল করোনা ভাইরাস থাবা বসেছিল গোটা দেশের সঙ্গে এ রাজ্যেও, আজ সেই করোনার বাড়বাড়ন্ত কিছুটা কমলেও এখন রাজ্যে ডেঙ্গি,ম্যালেরিয়া,সোয়াইন ফ্লু-এর দাপট বেড়েছে। সম্প্রতি ডেঙ্গির বাড়াবাড়ি কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তেই নজরে আসে। তবে তার মাঝেই ম্যালেরিয়ার দাপট নতুন করে কপালে ভাঁজ ফেলেছে স্বাস্থ্য কর্তাদের। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের মেডিসিন বিভাগের এক চিকিৎসক জানান, বর্ষা শুরু থেকেই ধীরে ধীরে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে। দুর্গাপুজোর পর পর্যন্ত প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে হবে, না হলে ম্যালেরিয়া দিন দিন আরও বাড়বে।
advertisement
আরও পড়ুন : "মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করছেন ব্যাটিং অর্ডার", অভিষেককে তলব প্রসঙ্গে কটাক্ষ সুজনের
সবথেকে বড় কথা, ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হওয়ার পর যে ওষুধ দেওয়া হয় অনেকেই সেটা সম্পূর্ণ কোর্স খায় না ৷ ফলে ছ’মাসের মধ্যে আবারও ম্যালেরিয়া আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় । তবে ডেঙ্গি বা ম্যালেরিয়া থেকে সতর্ক হওয়ার সবথেকে বড় উপায় হল রাতে মশারি টাঙিয়ে শোওয়া। বাড়িতে বা নিজের নিজের এলাকা পরিষ্কার,পরিচ্ছন্ন রাখা। খোলা পাত্রে কোথাও যেন জল না জমে থাকে।
আরও পড়ুন : রাজ্যের ১১ টি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে ইমার্জেন্সি মেডিসিন বিভাগ
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি ম্যালেরিয়া আক্রান্তের সংখ্যা ছত্তীসগঢ়ে, এরপরেই স্থান ত্রিপুরার । এর পর সারা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ত্রিপুরা, তার পরে ঝাড়খণ্ড, মিজোরাম এবং মহারাষ্ট্র । আর এর পরই স্থান পশ্চিমবঙ্গের।