শেষ পুরনির্বাচনে একতরফা জয় পেলেও শাসক দলের বিরুদ্ধে সেই ভোট সন্ত্রাসের পুরনো অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা৷ যদিও নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই ভোটে গায়ের জোর প্রয়োগ না করার বিষয়ে নীচুতলার নেতাকর্মীদের সতর্ক করেছিল তৃণমূল নেতৃত্ব৷ তা সত্ত্বেও পুরভোটে অশান্তি এড়ানো যায়নি৷ সেই কারণেই নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠক থেকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে দলকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ একই সঙ্গে অবশ্য পুরভোটে অশান্তির জন্য বিরোধীদেরই দায়ী করেছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, ব্যারাকপুর- ভাটপাড়া, কন্টাই, বহরমপুরের মতো এলাকায় ইচ্ছাকৃত ভাবেই অশান্তি পাকিয়েছে বিরোধীরা৷ তবে পঞ্চায়েত ভোটে তিনি এই ছবির পুনরাবৃত্তি চান না বলেই দলকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী৷
advertisement
আরও পড়ুন: একে একে নিশানায় পার্থ-অনুব্রত-মলয়, ভয়ঙ্কর অভিযোগ তুলল তৃণমূল!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "মানুষের সেবা করলে মানুষ এমনিই ভোট দিতে তৈরি থাকেন৷ কে ৫ ভোট কম পেলেন, কে ১০ ভোট বেশি পেলেন এটা ভাবতে হবে না। আমি চাই আগামী দিনে পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে।"
আরও পড়ুন: এক ডায়েরির সূত্রেই উঠে আসে মলয়ের নাম, মারাত্মক অভিযোগ তুলল সিবিআই
পঞ্চায়েত ভোটের এখনও কয়েক মাস দেরি রয়েছে৷ ২০১৮ সালে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বেলাগাম সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরা৷ ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যার ফল তৃণমূলকে ভুগতে হয়েছিল বলেই মনে করেন দলের অনেক নেতা৷ গত পুরভোটে যে ছবি দেখা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্য জুড়ে তার পুনরাবৃত্তি আটকাতেই আগে সময় থাকতে দলকে সতর্ক করে দিলেন তৃণমূলনেত্রী৷ এছাড়া তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা ধরে ধরে বৈঠকেও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সকলকে বুঝিয়ে দিয়েছেন গাজোয়ারী করে পঞ্চায়েত ভোট করা যাবে না। তাই আজকের সমাবেশ থেকে পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস।