১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন কাউন্সিলর যেই হোন না কেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে শোভনের তিন দশকেরও বেশি সময়ের ইনিংসে আজই ইতি পড়ছে৷ কারণ, কলকাতা পুরসভার ওয়েবসাইটেও ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কো- অর্ডিনেটর হিসেবে এ দিন পর্যন্ত লেখা ছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়ের নাম৷
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ দাম্পত্য কলহে বাড়ি ছেড়েছেন শোভন৷ কার্যত রাজনীতির থেকেই অনেক দূরে তিনি৷ বেহালা পূর্ব কেন্দ্রের বিধায়ক ছিলেন শোভন৷ ২০২১ সালে সেই কেন্দ্র থেকে রত্না চট্টোপাধ্যায়কে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল৷ বিজেপি-তে যোগ দিলেও ওই কেন্দ্র থেকে শোভনকে প্রার্থী করা হয়নি৷ সেই ক্ষোভেই গেরুয়া শিবিরের সঙ্গেও সম্পর্কচ্ছেদ করেন তিনি৷ বেহালা পূর্ব থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন রত্না৷
advertisement
আরও পড়ুন: কাউন্সিলর হিসেবেই প্রথম পরিচিত! আজ ভাগ্য পরীক্ষা হাফ ডজন বিধায়ক, মন্ত্রী, সাংসদেরও
বিধানসভা নির্বাচনের পর পুরভোটেও রত্না চট্টোপাধ্যায়ের উপরেই আস্থা রেখেছে তৃণমূল নেতৃত্ব৷ যে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড থেকে শোভন চট্টোপাধ্যায় কাউন্সিলর ছিলেন, সেখান থেকেই এবার রত্নাকে প্রার্থী করা হয়েছে৷ রত্না জয়ী হলে জনপ্রতিনিধি হিসেবে আপাতত মুছে যাবে শোভনের নাম৷ প্রসঙ্গত, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর, মেয়র পারিষদ, মেয়র হিসেবে দায়িত্ব সামলেছেন শোভন৷ ভবিষ্যতে কী হবে তা সময়ই বলবে, তবে আজই জনপ্রতিনিধি হিসেবে শোভনের ইনিংসে সরকারি ভাবে দাড়ি পড়ছে৷
আরও পড়ুন: নিজেদের ছাপিয়ে যাওয়ার লড়াই তৃণমূলের, কঠিন পরীক্ষায় পাস মার্কস পাবে বিরোধীরা?
এক সময় বেহালাকে বলা হত শোভনের গড়৷ সেই বেহালাতেই এবার নিজেকে আরও একবার প্রতিষ্ঠা করার লড়াই রত্নার৷ বাড়ি ছাড়ার পর এবং মেয়র পদে ইস্তফা দেওয়ার পর থেকে সেভাবে বেহালায় নিজের পাড়ামুখো হননি শোভন৷ সেই সময় দলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে এলাকার মানুষের পাশে থেকেছেন রত্নাই৷ ফলে কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পেলেও খুব অসুবিধার মধ্যে পড়ার কথা নয় রত্না চট্টোপাধ্যায়ের৷
কাউন্সিলর, মেয়র পারিষদ হিসেবে দীর্ঘদিন পরিষেবা দিয়ে কলকাতাবাসীর কাছে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমার, দেবব্রত মজুমদাররা৷ সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতেই ফের তাঁেদর কাউন্সিলর পদেই প্রার্থী করেছে শাসক দল৷