কলকাতা: দীর্ঘ দূরত্ব আপাতত মুছে গিয়েছে। এখন ‘ঘরে‘ ফেরা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। NKDA-এর চেয়ারম্যান হওয়ার পর আর কোনও জল্পনা নেই যে, কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ফের তৃণমূলে প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে। আর সেই সূত্রেই জল্পনা ছড়িয়েছে, তৃণমূলে ফিরে আগামী বিধানসভায় কি ফের ভোটে দাঁড়াবেন শোভন? দাঁড়ালেও কোন আসনে? এই সব জল্পনার মাঝেই চমকপ্রদ ঘটনা।
advertisement
শোভনের সমর্থনে পোস্টার পড়ল তাঁরই খাসতালুক বেহালায়। তাও আবার খোদ পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়ের বিধানসভা এলাকায়। বেহালা পশ্চিমে অজন্তা সিনেমা হলের সামনে পড়ল শোভনের নামে পোস্টার। সেই পোস্টারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। বেহালা নাগরিক মঞ্চের তরফ থেকে এই পোস্টার দেওয়া হয়েছে।
সোমবার, কালীপুজোর দিন, বেহালা পশ্চিমের ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডের বড়বাগান সংলগ্ন ডায়মন্ড হারবার রোডের ধারে দেখা যায় ওই হোর্ডিং। তাতে লেখা, ‘ধন্যবাদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এনকেডিএ-র চেয়ারম্যান হয়েছেন শোভন চট্টোপাধ্যায়।’ নীচে সংগঠনের নাম হিসেবে দেওয়া, ‘বেহালা ফোরাম’, ‘বেহালা নাগরিক মঞ্চ’ ও ‘জয়তু বেহালা’।
তৃণমূলের কারও নাম বা দলের প্রতীক সেই পোস্টারে দেখা যায়নি। কিন্তু বেহালা পশ্চিমে ওই পোস্টার পড়তেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে, তাহলে কি নিজের পুরনো কেন্দ্র বেহালা পূর্ব থেকে না দাঁড়িয়ে বেহালা পশ্চিমে দাঁড়াতে পারেন শোভন? বেহালা পশ্চিমের আসনের বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষাদুর্নীতি মামলায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে কারাগারে। দল তাঁকে ছয় বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে। ফলে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শেষ। তাই সেই আসনে শোভন দাঁড়াতে পারেন, এমন জল্পনার পিছনে সঙ্গত কারণ আছেই। যদিও তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। যদিও তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের ধারণা, পার্থ মুক্ত হলেও দল তাঁকে ফের টিকিট দেবে না। সেই জায়গাতেই ‘বিকল্প মুখ’ হিসেবে উঠে এসেছে শোভনের নাম। ফলে দিন যত এগোচ্ছে, শোভনের ‘সিট‘ নিয়ে গুঞ্জন ততই বাড়ছে।