দক্ষিণ পূর্ব রেলের মতো পূর্ব রেলও একই পথে হাঁটতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে৷ যার অর্থ, প্রান্তিক স্টেশনগুলি থেকে সন্ধে সাতটার অনেক আগে ছেড়ে যাবে লোকাল ট্রেনগুলি৷ যাত্রাপথও শেষ হবে সন্ধে সাতটার অনেক আগে৷
আরও পড়ুন: রাজ্যে ১৫ থেকে ১৮ বয়সিদের টিকাকরণ আগামিকাল! কোন কোন স্কুলে দেওয়া হবে টিকা? জানুন...
advertisement
পাশাপাশি দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ভোর ৫.১৫-র পর থেকেই লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু হবে৷ কারণ রাত ১০টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কঠোর ভাবে নাইট কারফিউ জারি করেছে রাজ্য সরকার৷
আরও পড়ুন: শীর্ষে কলকাতা! গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমণ ৬ হাজার পার, চোখ রাঙাচ্ছে করোনা...
এ দিন রাজ্য সরকারের তরফে লোকাল ট্রেনের বিধিনিষেধ নিয়ে ঘোষণার পরই যাত্রীদের প্রশ্ন ছিল, নতুন নিয়মে শিয়ালদহ, হাওড়ার মতো স্টেশনগুলি থেকে শেষ লোকাল ট্রেন কখন ছাড়বে৷ রেলের এই ঘোষণায় সেই বিভ্রান্তিই দূর হল৷ একই সঙ্গে শহরতলি থেকে আসা যাত্রীদের চিন্তাও বাড়ল৷ রাজ্যের তরফে আরও জানানো হয়, পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী নিয়েই সন্ধে সাতটা পর্যন্ত চলবে লোকাল ট্রেন৷
করোনার জন্য লকডাউনের আগের দুই পর্বে লোকাল ট্রেন চলাচলের উপরে রাশ টানায় অসুবিধায় পড়েছিলেন অসংখ্য মানুষ৷ এবারেও লোকাল ট্রেনের চলাচলে নিয়ন্ত্রণ ঘোষণার পরই উদ্বেগে পড়েছেন লক্ষ লক্ষ যাত্রী৷ তাঁদের ক্ষীণ আশা ছিল, হয়তো সন্ধে সাতটা পর্যন্ত হাওড়া, শিয়ালদহের মতো স্টেশনগুলি থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি মিলবে৷ কিন্তু রেলের এই সিদ্ধান্তে যাত্রীদের দুশ্চিন্তা অনেকটাই বাড়ল৷
বিশেষত চাকরি বা পেশাগত প্রয়োজনে শহরতলি থেকে যাঁরা নিয়মিত কলকাতায় আসেন, সমস্যা বাড়ল তাঁদের৷ কারণ, হাওড়া, শিয়ালদহ থেকে বনগাঁ, গেঁদে, শান্তিপুর, বর্ধমান, ক্যানিং, নামখানা, কাটোয়া, পাশকুড়া, মেদিনীপুরের মতো বহু লোকাল ট্রেন ছাড়ে, যেগুলি গন্তব্যে পৌঁছতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগে৷ রেলের নির্দেশিকায় স্পষ্ট, প্রান্তিক স্টেশন থেকে এই ট্রেনগুলি সাতটার অনেক আগে ছেড়ে চলে যাবে৷ উল্টোদিকে হাওড়া, শিয়ালদহগামী ট্রেনগুলির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে৷ ফলে বেশি সমস্যা পড়বেন অফিস ফেরত যাত্রীরা৷