সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ দ্বিতীয় বর্ষের ওই ছাত্রী জানালেন,‘‘কলেজ পিকনিকে গিয়ে মনোজিৎ অভ্যব আচারণ করত জুনিয়রের সঙ্গে৷ সামনে বোন দিদি বলে কথা, পরে সেই আবার আড়ালে কু প্রস্তাব দিত৷ কেউ প্রোটেস্ট করলে বলত, দেখবি ওই মেয়েটি আমার দলে হয়ে যাবে৷ আমি রাজি হয়নি। আমাকে কালচারাল প্রোগামের সেক্রেটারি করে দেব বলেছিল।’’
advertisement
প্রসঙ্গত, কসবা ল কলেজে ক্যাম্পাসের মধ্যেই ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত মনোজিতের বিরুদ্ধে একের পর এক উঠে আসছে। জানা গিয়েছে, কসবা কাণ্ডে ঘটনার ২ দিন আগেই পরিকল্পনা করে ফেলেছিল মনোজিৎ। তরুণী ছাত্রী ফর্ম ফিল আপ করতে এলেই তাকে নানা অছিলায় ইউনিয়ন রুমে আটকে রাখার জন্য জইব ও প্রমিতকে নির্দেশ দিয়েছিল মনোজিৎ। প্রথমে সহবাস করার জন্য বলা হবে, রাজি না হলে গার্ডরুমে ধর্ষণ করা হবে ছাত্রীকে। এমনই পৈশাচিক পরিকল্পনা ছিল মনোজিতের।
সন্ধ্যা পর্যন্ত ইউনিয়ন রুমে তরুণীকে আটকে রাখার নির্দেশ সঠিকভাবে পালন করলে কলেজের ইউনিয়নের বড় পোস্ট দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয় জাইব ও প্রমিতকে। এমনই জানা গিয়েছে। দাদা’-র কথাতেই সব করেছি। মনোজিৎ মিশ্রের নির্দেশেই কাজ করেছেন দুই অভিযুক্ত প্রমিত ও জইব। পুলিশি জেরায় এমনই দাবি দুই অভিযুক্তের। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় দুই অভিযুক্ত জানিয়েছেন, ঘটনার দিন যা যা করেছেন সবটাই ‘দাদা’-র নির্দেশে ও ‘দাদা’-র কথা রাখতেই।