রবিবার চন্দ্রিমা জানালেন, ‘‘সে তো কত অভিযুক্তকে আমরা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও ছবিতে দেখেছি। কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে কোনও অপরাধ করে কী করা যেতে পারে। প্রধানমন্ত্রীও কি কাউকে অপরাধ করতে বলেছিলেন? যে করেছে সে আদৌ ছাত্র নেতা নয়।’’
প্রসঙ্গত, রবিবার পানিহাটিতে ১০৩তম ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন ‘বাংলায় এটা কী চলছে? আরজিকরের ঘটনা বাংলার মাথা হেঁট করে দিয়েছে। একটা সময় এই বাংলা শিক্ষা, বিজ্ঞান, আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বে সেরা ছিল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঋষি অরবিন্দ, স্বামী বিবেকানন্দের এই বাংলায় জন্ম গ্রহণ করেছেন। সেই বাংলায় আরজিকরের ঘটনা ঘটছে যেখানে তৃণমূলের লোক জড়িত। দু-দিন আগে ফের একই ঘটনা। সেখানেও তৃণমূলের জড়িত। এই ঘটনা দেশকে খুব দুঃখ দিয়েছে, বেদনা দিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা করছি। বাংলার তৃণমূল সরকার কবে জাগবে জানি না। প্রধান বিরোধী দল হিসেবে বিজেপি বিধানসভায় এ ব্যাপারে সরব হবে আশা করছি। বাংলা সরকারকে যেতেই হবে। এই সরকারকে বিদায় না করা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’
advertisement
প্রসঙ্গত, ল কলেজের ছাত্রীকে ক্যাম্পাসের ভিতরেই নির্যাতনের ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন গণধর্ষণে অভিযুক্ত কলেজের প্রাক্তন ছাত্রনেতা মনোজিৎ মিশ্র, জায়েদ আহমেদ এবং প্রমিত মুখোপাধ্যায়৷ এ ছাড়াও ওই কলেজের একজন নিরাপত্তারক্ষীকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷
অভিযোগপত্রে নির্যাতিতা ছাত্রী জানিয়েছেন, ২৫ জুন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টা থেকে রাত ১০টা বেজে ৫০ মিনিট পর্যন্ত প্রথম ইউনিয়ন রুমে ও তারপরে গার্ড রুমে তাঁর উপরে অত্যাচার চালানো হয়৷ ঠিক সেই সময় কারা কলেজে ঢুকেছিল, ঘটনাস্থলের আশপাশে যাদের দেখা গেছে তাদের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা৷ আর সেখানেই ছাত্রীকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যও পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর