অভিযোগ পত্রে জানিয়েছেন, সন্ধে সাড়ে ৭ টা থেকে রাত ১০টা বেজে ৫০ মিনিট পর্যন্ত প্রথম ইউনিয়ন রুমে ও তারপরে গার্ড রুমে তাঁর উপরে অত্যাচার চালানো হয়৷ ঠিক সেই সময় কারা কলেজে ঢুকেছিল, ঘটনাস্থলের আশেপাশে যাদের দেখা গেছে তাদের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ অতন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা৷
advertisement
আরও পড়ুন: ধ*র্ষণের সময়ে ভিডিও রেকর্ডিং..সেটা দিয়েই থ্রেট! এক অভিযুক্তের মোবাইল ঘাঁটতেই সব ফাঁস
এছাড়াও, সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজের ইউনিয়ন রুমের সামনে লাগানো হচ্ছে সিসিটিভি। মূলত ইউনিয়ন রুম এবং তারপরে নিরাপত্তা আধিকারিকদের ঘর, দুটি জায়গাকেই সিকিওর করার জন্য এই সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে। ইতিমধ্যেই এই দুটি ঘরকে সিল করেছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের তরফেই সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে৷
এদিন অভিযুক্তদের তিনজনের মধ্যে একজনের মোবাইল থেকে নির্যাতিতাকে ধর্ষণের ভিডিও পাওয়া গিয়েছে৷ ধর্ষণ করার সময়কার ভিডিও তুলে রেখেছিল অভিযুক্তেরা৷ ঘটনার পরে যাতে নির্যাতিতা মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন, কোথাও একটাও কথা ফাঁস না করেন, তার জন্য ওই সময়কার দু’টি ভিডিও দেখিয়ে তাঁকে ব্ল্যাক মেইল করা হয়েছিল৷ গত ২৬ জুন অভিযোগ পত্রে নির্যাতিতা স্পষ্ট লিখেছিলেন এই কথা৷
শুধু তাই নয়, তাঁকে ওই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাক মেইল করে বলা হয়েছিল, এরপর থেকে তাঁকে যখন যেখানে ডাকা হবে, তখন সেখানে পৌঁছে যেতে হবে৷ একটু এদিক থেকে ওদিক হলেই ফাঁস করে দেওয়া হবে সেই ভিডিও৷ এবার অভিযুক্তদের একজনের মোবাইল থেকে সেই ভিডিও উদ্ধার করল পুলিশ৷