সেই কেসে বেশ কিছু বছর পলাতক ছিল মনোজিৎ। মনোজিৎ-এর বাবা সবটা মিটিয়ে নেয়। থানা পুলিশ হলেও তখন সেই কেস গ্রেফতার হয়নি সে। ২০১৬ সালে আবার ফিরে আসে কলকাতায়। ২০১৭ সালে রি অ্যাডমিশন নিয়েছিল মনোজিৎ সেই কসবা ল কলেজেই। ২০১৮ সালে একটি মেয়ের সাথে অভ্যব আচারণ করে সে। ঘটনাচক্রে সেই মেয়েটিই এখন তার গার্লফ্রেন্ড। ২০২২ সালে আবার একটি ঘটনা ঘটাল মনোজিৎ। এফ আই আর (FIR) হল গড়িয়াহাট থানায়। শ্লীলতাহানির কেস হয়। তখন একবার গ্রেফতার হয়েছিল গুণধর।
advertisement
আরও পড়ুন: পুলিশের হাতে এবার জাইবের CCTV ফুটেজ! ঘটনার মাঝেই কলেজের বাইরে…মিলিয়ে দেখা হচ্ছে সব
মনোজিৎ মিশ্রের ব্যাচমেট তিতাস মান্না যা বলছে তা শুনলে সেটা সিনেমার স্ক্রিপ্টের চেয়ে কম কিছু লাগবে না। তিতাস বলেন, ‘‘একবার নিজের মাথা নিজে ফাটিয়ে মনোজিৎ মিশ্র তার জুনিয়রদের ওপর সেই দোষ চাপিয়ে দেয়। কলেজ ফেস্টের ঘটনা। প্রতিবারই তার আমলে কলেজ ফেস্টে মারামারি হয়েছে। এটাই এম এম-এর স্বভাব।’’ কলেজে কান পাতলে সে কথা শোনাও যায়। সেই দুজনকে এখনও হাজিরা দিতে হচ্ছে আদালতে। চলছে কেস। তিতাসের দাবি, ‘‘মনোজিৎ আসলে কলেজে স্ব-ঘোষিত নেতা। পেশি শক্তি দেখিয়ে সবার দাদা হয়েছে সে।’’
লেজ কর্তৃপক্ষ ওর বাড়াবাড়ি জানলেই কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। অথচ কলেজের উপাধক্ষ্য নয়না চট্টোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘তিনি কিছু জানেন না! হেভিওয়েট নেতাদের সঙ্গে ছবি, কলেজে জুনিয়রদের ভয় দেখান, জুনিয়র মেয়েদের কুপ্রস্তাব, মারপিঠ, দাদাগিরি এই সব কিছুই তাকে এম এম করে তুলেছিল কলেজে৷’’