পিটিআই সূত্রের খবর, ডাক্তারি পরীক্ষায় মনোজিৎ মিশ্রের শরীরের একাধিক জায়গায় নখের আঁচড়ের দাগ মিলেছে৷ এই আঁচড়ের দাগগুলো টাটকা৷ আঁচড়ের দাগের ধরন দেখে মনে করা হচ্ছে, ধর্ষণের সময় বাধা দিতে গেলেই এমন আঁচড়ের দাগ দেখা যায় অভিযুক্তের শরীরে৷
advertisement
পিটিআই-কে ওই পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ‘‘মনোজিতের শরীরে কিছু ক্ষত পাওয়া গিয়েছে৷ আঁচড়ের দাগ৷ এই দাগগুলো টাটকা৷ কোনও মানুষ যখন বাধার সম্মুখীন হয় তখনই তার শরীরে এমন ক্ষত দেখতে পাওয়া যায়৷’’
এর আগে নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষাতেও তার বয়ানের সঙ্গে মিল পাওয়া গিয়েছিল৷ সেই রিপোর্টে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গে ক্ষত, শরীরে কামড়ের দাগ ও আঁচড়ের দাগ মিলেছিল৷
এছাড়া, কলেজের সিসিটিভি ফুটেজেও নির্যাতিতা ছাত্রীকে জোর করে কলেজের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার ফুটেজ পেয়েছে পুলিশ৷
কসবা কাণ্ডের তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের ৯ সদস্যের বিশেষ তদন্তকারী দল৷ এর মধ্যেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে৷ জানা গিয়েছে, ঘটনার পরের দিন সকালে কলেজের নয়না চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করেছিল মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ৷ ফোনে কী কথা হয়েছিল তা নিয়ে ভাইস প্রিন্সিপালকে ২ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে৷
আরও পড়ুন:আকাশছোঁয়া টাওয়ার…ঝাঁ চকচকে ক্যাম্পাস, কী নেই! নতুন মাইলফলক ছুঁল বাংলা…ঘোষণা মমতার
এছাড়া, ঘটনার সময় অপর অভিযুক্ত জাইব যে মেডিসিন শপে ইনহেলার কিনতে গিয়েছিল, তার CCTV ফুটেজেও পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে৷ ওই ওষুধের দোকানের মালিক জানিয়েছেন, জাইব নগদ এবং ইউপিআই দু’ভাগে ইনহেলারের টাকা দিতে চেয়েছিল৷
প্রথম দফা জবরদস্তির সময় নির্যাতিতার প্যানিক অ্যাটাক হয় বলে অভিযোগ পত্রে জানিয়েছিলেন ওই ছাত্রী৷ সেই সময় জাইবকে দিয়ে ইনহেলার কিনতে পাঠায় মনোজিৎ৷ পরে ইনহেলার নিয়ে সুস্থ হওয়ার পরেও নির্যাতিতাকে বেরতে দেওয়া হয়নি কলেজ থেকে৷ বরং তাকে জোর করে কলেজে ঢুকিয়ে গার্ডরুমে নিয়ে গিয়ে চলে অত্যাচার৷
যদিও আদালতে মনোজিতের আইনজীবী দাবি করেছেন, ধর্ষণ নয়, সেদিন যা হয়েছিল উভয়পক্ষের সম্মতিক্রমেই হয়েছিল৷