তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, এই পরীক্ষা মামলার গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। এর মাধ্যমে অভিযুক্তদের শরীরে কোনও আঘাত, চিহ্ন বা সংশ্লিষ্ট নমুনা রয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। ফরেনসিক রিপোর্ট ও মেডিকো-লিগ্যাল রিপোর্ট মিলিয়ে তৈরি হবে অভিযোগপত্রের ভিত্তি।
পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃতদের পাশাপাশি তাদের পরিধেয় জামাকাপড়ও বাজেয়াপ্ত করে পাঠানো হয়েছে ফরেনসিকে। অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বাড়ি থেকে তাঁর ঘটনাস্থলে পরা জামা-প্যান্ট, অন্তর্বাস ও জুতো বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তদন্তে অগ্রগতি আনতেই মনোজিতের বাড়িতে হানা দিয়ে এই পোশাক উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাজেয়াপ্ত পোশাকগুলি ইতিমধ্যেই ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর, ওই জামাকাপড়ে রক্ত, দাগ, বা অন্য কোনও প্রাসঙ্গিক নমুনা রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখবেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। পুলিশ মনে করছে, এই পোশাকগুলি থেকেই মিলতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ক্লু, যা তদন্তে মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে।
advertisement
বার্থ সার্টিফিকেট নিয়ে এবার বিশাল কড়াকড়ি! কোন অনুমোদন ছাড়া মিলবে না শংসাপত্র?
১৬ পাক সেনা নিহত! পাকিস্তানের কনভয়ের উপর এভাবে হামলা করেছে ভারত? বড় অভিযোগ! সত্যিটা কী?
জোর করে কলেজ গেট থেকে ভিতরে নিয়ে যাওয়ার যে অভিযোগ নির্যাতিতা করেছিলেন, সিসিটিভি ফুটেজে মিলেছে সেই দৃশ্য। গেট থেকে জোর করে নির্যাতিতাকে ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলেই পুলিশ সূত্রে খবর। নির্যাতিতা যখন অসুস্থ বোধ করে পালিয়ে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে এসেছিলেন। এসে দেখেছিলেন মেন গেট তালা বন্ধ অবস্থায়। সেই মুহূর্তে মনোজিতের দুই সহযোগী নির্যাতিতাকে জোর করে ইউনিয়ন রুমের দিকে নিয়ে গিয়েছে। এই অভিযোগ ছিল লিখিত বয়ানে। সত্যতা যাচাইয়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হয়েছে। তাতে এই দৃশ্য রয়েছে বলেই পুলিশ সূত্রে খবর।
অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের বাড়ি থেকে তাঁর ঘটনাস্থলে পরা জামা-প্যান্ট, অন্তর্বাস ও জুতো বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, এই সমস্ত পোশাক ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, যাতে রক্ত, বীর্য, বা অন্য কোনও নমুনা মিলতে পারে কি না, তা পরীক্ষা করা যায়। পুলিশের ধারণা, এই পোশাক থেকেই তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র উঠে আসতে পারে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই মামলাই সংবেদনশীল এবং প্রমাণ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের কাজে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারীদের মতে, সিসিটিভি ফুটেজ ও ফরেনসিক রিপোর্ট—এই দুটি প্রমাণই মামলার ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণে মুখ্য ভূমিকা নিতে চলেছে।