দিন কয়েক আগেই বাবুল সুপ্রিয় প্রকাশ্যেই বোমা ফাটান। স্পষ্ট জানিয়ে দেন সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন, রাজনীতি ছাড়ছেন। বাবুলের মত প্রকাশ্যে আসার পরেই তার মন বদলাতে আদাজল খেয়ে নেমে পড়ে বিজেপি। সূত্রের খবর অমিত শাহ, জে পি নাড্ডার সামনে উষ্মা গোপন করেননি বাবুল সুপ্রিয়। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি বর্তমানে বাংলায় যারা বিজেপির দায়িত্বে আছেন তাঁদের সঙ্গে একযোগে রাজনীতি করতে পারবেন না। খুব স্পষ্ট করে না বললেও রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা বাবুলের অসূয়া আসলে দিলীপ ঘোষ শিবির নিয়ে।
advertisement
কিন্তু বাবুলের কথায় বিজেপি এক্ষুনি দিলীপ বিরোধী কোনও পদক্ষেপ করবে না, তা তো বলাই বাহুল্য। আরও ভেঙে বললে বিজেপির বাংলা নিয়ে মাথাব্যথাই এখন তুলনায় কম। গোটা দলই এখন ফোকাস উত্তরপ্রদেশ ভোট। কিন্তু বাবুলের বৈরাগ্যও বিজেপির পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
তাই বিজেপির কথাতেই নাকি বাবুল রাজনীতি ছাড়লেও সাংসদ পদে বহাল থাকছেন বাবুল, হাওয়া ভাসছে এমন কথাও।
বাবুলের এ হেন সিদ্ধান্তের নানা ব্যাখ্যাও আছে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে আসানসোলে বাবুল পদ ছাড়লে উপনির্বাচন হবে। সেই উপনির্বাচনের ফল বিজেপির পক্ষে যাওয়া খুব কঠিন। ফলে এই শূন্যস্থান গোদের ওপর বিষফোঁড়া হবে পদ্মশিবিরে। মনে করা হচ্ছে এই কারণেই বিজেপি বাবুলকে অনুরোধ করছে সাংসদ পদে থেকে যেতে।
পদাধিকারে বহাল থাকলেও বাবুল রাজনীতি ছাড়ছেন একথা স্পষ্ট। আর রাজনীতির ময়দানেই যদি না থাকেন তবে দিল্লিতে থেকে লাভ কি! সেই কারণেই কি ব্যাক টু পাভিলিয়ন? মুখে মুখে চলছে চর্চা তবু জল্পনা থামছে না। মনে রাখতে হবে বাবুল বিজেপি ছাড়লেও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক খারাপ হয়নি। বাবুল জেপি নাড্ডা অমিত শাহ সম্পর্কে সশ্রদ্ধ মন্তব্য করেছেন। এখন ঘরে ফিরে আসছেন বটে, কিন্তু প্রশ্ন থাকছে দল ছেড়েও বাবুল কি আসলে দলে থেকেই গেলেন? উত্তর আসবে না আপাতত আসবেন বাবুল।
