আর এবার সেই সর্বোচ্চ ডেসিবেলের মাত্রা ছিল ১২৫ ডেসিবেল। কিন্তু শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ ঘুরে কোথাওই দূষণ পরিমাপক যন্ত্রে ধরা পড়ল না সর্বোচ্চ মাত্রা। রাতভর সর্বত্রই ফেটেছে দেদার শব্দবাজি। তবে এক প্রকার নিয়ন্ত্রণেই ছিল শব্দবাজির দাপট।
advertisement
১২ নভেম্বর কালী পুজোর দিন সন্ধ্যা থেকে রাতে দূষণ বিশেষজ্ঞ সুদীপ্ত ভট্টাচার্যকে নিয়ে শহরের বিভিন্ন প্রান্তের শব্দ দূষণ এবং বায়ু দূষণের কি ছবি? তা ঘুরে দেখে নিউজ 18 বাংলা। উত্তরের মানিকতলাই থেকে দক্ষিণের কসবা যাদবপুর সন্তোষপুর-সহ বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে অন্যান্য বারের মত এবছর শব্দবাজির দাপট সেভাবে নজরে পড়েনি। তবে মাত্রাতিরিক্ত দূষণের বিষ গ্রাস করেছে শহর কলকাতাকে।
এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের স্বাভাবিক মাত্রার থেকে কোথাও পাঁচ গুণ আবার কোথাও সাত গুণ বেশি। PM২.৫ বা PM ১০ সব ক্ষেত্রেই বাতাসে দূষণের বিষ। দূষণ পরিমাপক যন্ত্রে কোথাও কোথাও আবার সেই মাত্রা ৫০০ ছাড়িয়ে গেল। যা অত্যন্ত বিপদের বলেই মত পরিবেশবিদদের।
আরও পড়ুন: সাধক রামপ্রসাদের গুরুর প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরে কালীপুজোয় ভিড় জমায় হাজারো ভক্ত! পুজো শুরুর রীতিও অভিনব
সরকার এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবার জেলা হোক বা শহর কলকাতা জোর দেওয়া হয় সবুজ বাজি বিক্রির ক্ষেত্রে। কিন্তু অভিযোগ জাল QR কোড কিম্বা সবুজ বাজির পরিবর্তে বিভিন্ন বাজার থেকে দেদার বিক্রি হয়েছে নিষিদ্ধ শব্দবাজি। যদিও তার পরেও তিলোত্তমায় শব্দবাজির দাপট উধাও।
এই ব্যতিক্রমী ছবি দেখে অনেকেই মত মানুষের সচেতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গতকাল রাতে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পক্ষ থেকে সল্টলেকে ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়। শহর এবং সংলগ্ন এলাকায় কোথায় কি ছবি, মূলত তা জানতেই ড্রোনের মাধ্যমে নজরদারির ব্যবস্থার আয়োজন করা হয়। তবে শব্দ বাজি সেভাবে চোখে পড়েনি। তবে কালীপুজোর রাতে আতশবাজির ধোয়ায় দূষণের ছোবলে রেকর্ড বিষ ছড়াল তিলোত্তমাতে বলেই মত পরিবেশ বিজ্ঞানীদের।
ভেঙ্কটেশ্বর লাহিড়ী