শনিবার সন্ধ্যায় বহরমপুর থেকে লাবু শেখকে গ্রেফতার করল সিআইডি। যদিও এখনও পলাতক খুনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত লালু শেখ। নজরে এক আইনজীবী, তাঁঁরও খোঁজ করছে সিআইডি। উল্লেখ্য, লালু শেখ নামে এক সাজাপ্রাপ্ত বন্দির বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নথি জাল (জামিনের নির্দেশ) করে তা কান্দি আদালতে পেশ করা হয়। সেই নথি দেখে নিম্ন আদালত জামিন দেয় লালুকে। পরে ওই নথি খতিয়ে দেখে বোঝা যায় ওই জামিনের নির্দেশের নথি ভুয়ো। বিষয়টি জানানো হয় কলকাতা হাইকোর্টে। এরপর হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে এই ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি।
advertisement
আরও পড়ুন: জলে কুমির, বোমা ফাটিয়ে ভাগীরথীর বুকে তর্পণ চলল কালনায়
হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের পক্ষ থেকে কান্দি থানায় অভিযোগ করা হয়। তদন্তে নেমে এই ঘটনার নেপথ্যে কারা, শুরু হয় খোঁজ। কান্দি আদালতে গিয়েও খোঁজ নেয় সিআইডি। ২০১৫ সালে ভরতপুর আশরফ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল লালুকে। ২০১৮ সালে যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করে কান্দি আদালত। ২০২১ সালে হাইকোর্টের জাল নথি দেখিয়ে জামিন নেওয়ার অভিযোগ লালুর বিরুদ্ধে।
ইতিমধ্যে হাইকোর্টের তরফে ১৬ অক্টোবরের মধ্যে লালু শেখকে গ্রেফতার করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত । একই সঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি নিয়েও রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। লালুর ছেলে লাবুকে গ্রেফতার করে জেরা শুরু করেছে সিআইডি। সূত্রের খবর, লাবুকে এই নথি জাল করতে সাহায্য করেছিলেন এক আইনজীবী। তাঁর খোঁজ শুরু হয়েছে। সিআইডি সূত্রে দাবি, ওই আইনজীবী কেন এমন করলেন? কোনও টাকার লেনদেন হয়েছিল কি না তা জানতে চাইছে তদন্তকারী সংস্থা।