বৃহস্পতিবার ভোররাতে বারুইপুরের বাড়িতে যাওয়ার জন্য শিয়ালদা স্টেশনে ট্রেন ধরার জন্য হাঁটা শুরু করেন। জানা গিয়েছে, সেই সময় একটি মোটরসাইকেলের আরোহীর সঙ্গে ৫০ টাকায় শিয়ালদা স্টেশনে পৌঁছে দেওয়ার কথা হয়। অভিযোগ, সেই মোটরসাইকেল আরোহী এর পর তাঁকে নিয়ে শাঁখারি স্ট্রিটের এ গলি, ও গলি করে বিভিন্ন অছিলায় ঘুরতে থাকে। শেষে ৯-এ শাঁখারি তলা লেনে এসে, ছুরি দেখিয়ে টাকাপয়সা মোবাইল ছিনতাই করতে যায় বলে অভিযোগ।(snatching)
advertisement
নিসার আলির অভিযোগ, সেই সময় বাধা পেলে সেই বাইকচালক দুষ্কৃতী নিসারকে ছুরিকাহত করে। দুষ্কৃতীরা তিন হাজার টাকা নগদ ও একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালিয়ে যায়, বলে অভিযোগ। তার পরই নিসার নিজে মুচিপাড়া থানাতে গিয়ে সমস্ত বিষয় খুলে বলে। মুচিপাড়া থানা তাঁকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে। তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় এখন চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন : ৫ বছর পর ‘মৃত’ ব্যক্তি ফিরলেন বাড়িতে, বিস্ময়ে হতবাক পরিবার আনন্দে উচ্ছ্বসিত
ঘটনাস্থলের পাশে দুটি বাড়ির বাসিন্দাদের বক্তব্য, তাঁরা শেষ রাতে একটা গণ্ডগোলের শব্দ শুনে ছিলেন। তার মধ্যে, একজন মহিলার চিৎকার শোনা গিয়েছিলও বলে তাঁদের দাবি। সম্পূর্ণ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে মুচিপাড়া থানার পুলিশ। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্ত ধরা পড়েনি। তবে কয়েকদিনের মধ্যে কয়েকটি ছুরিকাহত করে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল।
আরও পড়ুন : আম, জাফরান সুবাসিত গাজরের হালুয়া এবং আশা ভোঁসলের তৈরি শাম্মি কাবাব ছিল সুরসম্রাজ্ঞীর পছন্দের শীর্ষে
প্রশ্ন উঠেছে, নিসারের সঙ্গে কি মহিলা ছিলেন? নাকি কলকাতায় আবার সেই হানিট্র্যাপ শুরু হল? গলির অনেকেই ওই রাতে মহিলার চিৎকারের শব্দ শুনেছিলেন। তবে এই ঘটনার মধ্যে মহিলা যোগ কী ভাবে এল? যদি লুটের উদ্দেশ্যেই নিসারকে নিয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে ভয়ানক ভাবে ছুরি মারবে কেন? ওই গলিতে গিয়ে দেখা গেল, তাজা রক্ত পড়ে রয়েছে। এমনকি রক্তমাখা হাতের ছাপ এখনও দেওয়ালে রয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশেই অনেকগুলি দরজা ছিল। নিসার কেন কোনও দরজায় গিয়ে কাউকে ডাকল না? সমস্ত কিছু নিয়ে ভাবিয়ে তুলেছে গোয়েন্দাদের।তাছাড়া অত ভোরে কোনও রক্ষীর ছুটি হয় না। পুরনো শত্রুতার জেরে এই খুনের চেষ্টা নয় তো? উত্তরের সন্ধানে চলছে তদন্ত৷