বিষাক্ত সাপে কামড়ানোর ওষুধ রাজ্যে এতদিন তৈরি হত বেঙ্গল কেমিক্যালে। কিন্তু বেশ কয়েক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে সেই কাজ। সাধারণত, বিষাক্ত সাপে কামড়ালে চিকিৎসা হয় অ্যান্টি স্নেক ভেনম সিরাম দিয়ে। রাজ্যে এই সিরাম তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে এটির সাপ্লাই হয় তামিলনাড়ু থেকে। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে ২০, ৩০, ৪০ ভায়েল সিরাম দেওয়া সত্ত্বেও রোগ নিরাময় করা সম্ভব হয়নি রোগীদের। ফলে দিনদিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
advertisement
চিকিৎসকদের অনুমান, সাপের প্রজাতির কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। তবে সেই সমস্যার সমাধান সমাধান করার পথ দেখাচ্ছে প্রথমে ওয়াল ওষুধ । ওরাল ওষুধের ট্রায়ালে ইতিবাচক সাফল্য পেয়েছে ভারেসপ্ল্যাডিব মিথাইল নামের এই ট্যাবলেট। এবার সেই ওষুধেরই এবার ইনজেকশনের কথা ভাবা হচ্ছে প্রস্তুত কারক সংস্থার তরফে। জানা গিয়েছে, অ্যান্টিভেনমের সাথে ব্যবহার করা ভারেসপ্ল্যাডিব মিথাইলের ইনজেকশন। এই ওষুধের ট্রায়াল হবে নীলরতন সরকার হাসপাতাল এবং এস এস কে এম হাসপাতালে। ভ্যাকসিন ট্রায়াল ফেসিসিলেটর স্নেহেন্দু কোনার জানান," এই ভারেসপ্ল্যাডিব ট্যাবলেট খুব ভালো কাজ করছে সাপে কাটা রোগীর উপর। এরপর একটি নতুন ক্লিনিকাল ট্রায়াল শুরু করার প্ল্যান চলছে আমাদের রাজ্যে। ইতিমধ্যে এন আর এস এবং এস এস কে এম হাসপাতাল এর সাপের কামড়ে আক্রান্ত রোগীদের তথ্য জোগার করা হয়েছে। এই দুই হাসপাতালেই ট্রায়াল চলবে।"
কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্যাবলেটের ব্যাবহার করা হয়েছিল ১৩ জন সাপে কাটা রোগীর উপর। ইতিমধ্যেই সেই ১৩ জনকেই ট্যাবলেটের মাধ্যমে সুস্থ করা হয়েছে। এবার এই একই ফর্মুলায় তৈরি ইনজেকশন আরও দ্রুত কাজ করবে বলে আশাবাদী চিকিৎসকেরা।
ওঙ্কার সরকার