জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিদ্যুৎ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে আরও নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে রাজ্যে ৩৭ লক্ষ স্মার্ট মিটার বসানো হবে। ৮৭টি সাবস্টেশন বসানো হবে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে আরডিএসএস প্রকল্পের আওতায় মোট ১১.৮৯৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে বলেই জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। প্রকল্পের বরাদ্দ ৬০ শতাংশ টাকা দেবে কেন্দ্র। বাকি ৪০ শতাংশ টাকা দেবে রাজ্য সরকার।
advertisement
স্মার্ট মিটার হয়ে গেলে, মিটার থাকবে যে সব বাড়িতে তাঁদের বাড়িতে গিয়ে কর্মীদের বিদ্যুৎ ইউনিট দেখা বা প্রয়োজনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে না। মিটার রিডিংয়ের সময়ও কাউকে ওই বাড়িতে যেতে হবে না। বিদ্যুৎ দফতরে বসেই এই সমস্ত কাজ করতে পারবেন কর্মীরা। তার ফলে কাজে গতি যেমন বাড়বে ঠিক তেমনই আরও উন্নত পরিষেবাও পাবেন গ্রাহকরা।স্মার্ট প্রিপেইড মিটারে প্রয়োজন অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পারবেন গ্রাহকরা। দরকার না হলে রিচার্জ করবেন না। এর পাশাপাশি বিদ্যুতের খরচও কমবে। বিদ্যুৎ চুরি, মিটারে কারচুপির মতো সমস্যাও কমবে।
আরও পড়ুন : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাত-ওল-ট্যাংরা মাছ খাওয়ার ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট, আপত্তি দলের
ইতিমধ্যেই, উত্তরপ্রদেশে টু-জি বা থ্রি-জি স্মার্ট মিটারগুলিকে ফোর-জি-তে আপগ্রেড করবে ইউ পি পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেড। গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে কাজ। সে রাজ্যে প্রায় এক বছর ধরে রাজ্যে স্মার্ট মিটার বসানো হচ্ছে না। উপভোক্তা পরিষদ ক্রমাগত পুরানো প্রযুক্তির ভিত্তিতে বিদ্যুৎ মিটার তুলে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে আসছে। নতুন স্মার্ট মিটার বসানোর পরামর্শ দিয়েছে তারা। ফোর-জি প্রযুক্তির উপর ভিত্তিতে তৈরি নতুন প্রিপেইড মিটারগুলি।
আরও পড়ুন : কৌটো ঝাঁকানো অতীত, চাঁদা তুলতে এবার 'আধুনিক' হল CPIM!
ফোর-জি স্মার্ট প্রিপেইড মিটার সাধারণ বিদ্যুৎ মিটারের তুলনায় অনেকটাই আলাদা। নতুন ফোর-জি স্মার্ট প্রিপেইড মিটার বসানোর সঙ্গে সঙ্গে পুরনো প্রযুক্তির মিটারগুলিও আপগ্রেড করা হবে৷ এতে সুবিধা হবে সাধারণ মানুষের। একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে উত্তরপ্রদেশে ১২ লক্ষ মিটার পুরানো প্রযুক্তিতে কাজ করছে। যা আপগ্রেড করে স্মার্ট মিটারে রূপান্তরিত করা হবে।