কয়লা পাচার কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত নারায়ণ খাড়কার গাড়িচালক এই অভিজিৎ মণ্ডল৷ রাজুর ঝায়ের খুনের পরে প্রথমেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। সূত্রের খবর, এবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই মামলায় নেপাল যোগ পেয়েছে সিট। নারায়ণের চালককে পুলিশি রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করে খুনের মূল মাথার নাম জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
advertisement
সূত্রের খবর, রাজু ঝায়ের খুনের পরও বেশ কয়েকদিন ধরে খুনের মাস্টারমাইন্ড দুর্গাপুরে গা ঢাকা দিয়েছিল। পরে অবশ্য অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেফতারির পরে সে দুর্গাপুর থেকে পালিয়ে যায়। এমনকি, মাস্টারমাইন্ডের ফোন নম্বর পাওয়া গেলেও তাকে নাগালে পাওয়া যায়নি বলে জানা গিয়েছে।
দীর্ঘ কঠিন জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে, সিট জানতে পেরেছে, এই খুনের মূল মাথা নেপালে গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। পাশাপাশি, আরও এক জন আততায়ীও নেপালেই রয়েছে। এই নেপাল-বিহার সীমান্ত এলাকায় মূল মাথার যাতায়াত রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: নারী নিরাপত্তায় ফের বড়সড় পদক্ষেপ লালবাজারের! এবার 'নজরবন্দি' শহরের আরও বিস্তীর্ণ এলাকা
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজু ঝা খুনের পিছনে ছিল মাফিয়া রাজ ছিনিয়ে নেওয়ার ষড়যন্ত্র। একসময় কয়লা পাচারের অভিযুক্ত নারায়ণও রাজু ঝায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল। কিন্তু সেই রাজু ঝাকে রাস্তা থেকে সরাতেই মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ধৃত অভিজিৎ মণ্ডলকে।