শিশির অধিকারী চিঠিতে অভিযোগ করেন, সুদীপ বন্দোপাধ্যায়ের দেওয়া অভিযোগপত্রের প্রতিটি পাতায় স্বাক্ষর করা হয়নি। এমনকী স্থান উল্লেখ করা হয়নি বলেও অভিযোগ করেছেন শিশির। সেই সমস্ত অভিযোগের জবাব দিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে সমস্ত অভিযোগ শিশির অধিকারী এনেছেন সেগুলি ভিত্তিহীন। কেন তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে এত দেরি হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রতর রাইস মিলে ঢুকেই অবাক সিবিআই! যা মিলল, চক্ষু চড়কগাছ তদন্তকারীদের
শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজের আর্জি নিয়ে তৃণমূলের আবেদনের শুনানি হয় ২৮ জুলাই। শিশির অধিকারীর সাংসদ পদ খারিজ করার দাবিতে লোকসভায় স্পিকারকে চিঠি দিয়েছিলেন তিনি। দলবদলের বিষয়টি নিয়ে দ্রুত শুনানির নিষ্পত্তি করার কথা বলেছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লা। তৃণমূলের টিকিটের সাংসদ হলেও গত বিধানসভা নির্বাচনে অমিত শাহের সভায় দেখা গিয়েছিল তাঁকে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেননি তিনি। তবে বিধানসভা নির্বাচনে ছেলে শুভেন্দু অধিকারীকে সমর্থন করার কথা বলেছিলেন শিশির অধিকারী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের সব সাংসদ-বিধায়ক বিধানসভায় ভোট দিলেও বিজেপি সাংসদদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শিশির অধিকারী ভোট দিয়েছিলেন দিল্লিতে লোকসভায়।
আরও পড়ুন: অনুব্রতর রাইস মিলেই লুকিয়ে আসল রহস্য? বোলপুরে ফের সিবিআই, গোপন তথ্যের খোঁজ
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ শিশির অধিকারী। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দিল্লিতে গিয়ে তিনি ভোট দেওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। তবে যেহেতু তিনি অসুস্থ তাই তাঁর দিল্লি সফর চিকিৎসকরা আদৌ মঞ্জুর করবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। চিকিৎসকরা শিশির অধিকারীকে দিল্লি যাওয়ার ছাড়পত্র দেন। এরপরই শিশির অধিকারী দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদান করেন। উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও একইভাবে দিল্লিতে ভোট দেন তিনি।