ঘনিষ্ঠ মহলে শিশির বাবু বলেছেন, 'চাইলে কলকাতাতেও ভোট দিতে পারতাম। কিন্তু আমায় কেউ কিছু জানাননি। তাই নিজেই চলে এলাম দিল্লিতে।’ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কাকে ভোট দেবেন ? প্রশ্নের উত্তরে বর্ষিয়ান এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বললেন, 'এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ও গোপনীয় বিষয়। বলা যাবে না।'
আরও পড়ুন: ধনখড়ের ইস্তফা গ্রহণ রাষ্ট্রপতির, মণিপুরের রাজ্যপালকে দেওয়া হল বাংলার অতিরিক্ত দায়িত্ব!
advertisement
একই প্রশ্নের উত্তরে তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর কৌশলী জবাব,' দল যাকে সমর্থন করছে তাঁকেই ভোট দেবো৷' অধিকারী পরিবারের তিন সদস্য, শিশির অধিকারী, শুভেন্দু অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী তিনজনেই ভোট দেবেন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে। শুধু বাংলা নয়, গোটা দেশের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন সদস্য কোনও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন, এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।
আরও পড়ুন: বিরোধীদের উপরাষ্ট্রপতি প্রার্থী মার্গারেট আলভা! ধনখড়ের প্রতিদ্বন্দ্বী রাজস্থানের প্রাক্তন রাজ্যপাল
নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থন যে দ্রৌপদী মুর্মুর দিকেই থাকবে তা নিশ্চিতভাবেই বলা গেলেও শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর সমর্থন কার দিকে থাকবে তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে কৌতূহল তুঙ্গে। বিজেপিতে যোগদানের পর শুভেন্দু অধিকারী সক্রিয়ভাবে বিরোধী শিবিরের ভূমিকা পালন করলেও শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী এই দুজনেই সক্রিয় রাজনীতি থেকে বর্তমানে 'নীরব' রয়েছেন।
খাতায়-কলমে শাসক দলের এই দুই সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসে থাকলেও শাসকদলের কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতেই দেখা মেলে না তাঁদের। তবে বিরোধী পদ্ম শিবিরের কোনও কর্মসূচিতেও অংশ না নেওয়ায় শিশির-দিব্যেন্দুর রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে দুজনেই সাংসদ পদে নির্বাচিত হলেও দলের সঙ্গে দীর্ঘ দূরত্ব তৈরি হয়েছে দুজনেরই। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কাঁথির অধিকারী পরিবারের এই দুই সদস্যের অবস্থান আগামী দিনে কী হবে সেদিকেই এখন নজর রাজনৈতিক মহলের।