রাসবিহারীর ধর্মদাস রোড। এখানেই থাকতেন সারদাচরণ চন্দ। পরিবারের বক্তব্য, ভারতের সংবিধান তৈরির নেপথ্যের অন্যতম কারিগর ছিলেন সারদাচরণ চন্দ। চন্দ পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, কমিশনের আপলোড করা ২০০২ সালের ভোটার তালিকায়,তাঁদের নাম নেই। এমনকী, ঠিকানাটারও উল্লেখ নেই ৷ এখানে তালিকা দেখিয়ে বলছে, ৭ নম্বর বাড়ির নাম আছে। তারপরে ৯ নম্বর বাড়ি। অর্থাৎ ৮ নম্বর বাড়ির খোঁজে নেই ৷ পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে লিস্ট চেক করতে গিয়ে তাঁরা দেখতে পান যে তাঁদের নাম নেই, বাড়ির ঠিকানা নেই ৷ আরও জানানো হয় যে প্রণব মুখোপাধ্যায়, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির মতো নেতারা এখানে পড়তে আসতেন ৷ ফলে এই লিস্ট নিয়ে তাঁরা খুবই ক্ষুব্ধ৷
advertisement
এরপরই কমিশন পদক্ষেপ নেয়। বুধবার সারদাচরণ চন্দের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের এক প্রতিনিধি তাঁদের ফোন করেন। পরিবারের দাবি, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম তোলার বিষয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে।
সারদাচরণের নাতবউ সুনন্দা চন্দ জানান, কমিশনের প্রতিনিধি তাদের ফোন করেছেন। তাঁরা বলেছেন দুঃখিত এবং লজ্জিত যে এমন পরিবারের নাম বাদ গিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে ভুল হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তবে চিন্তার কিছু নেই বলে সারদাচরণ চন্দের পরিবারকে নিশ্চিত করা হয়েছে। নিউজ 18-এর খবরের জেরে তাঁরা উপকৃত হয়েছেন বলে নিউজ 18-কে ধন্যবাদ জানান চন্দ পরিবার৷
রাসবিহারীর ধর্মদাস রোডে সারদাচরণ চন্দের বাড়ি। ১৯৩৬ সালে তৈরি। এখন সারদাচরণ বেঁচে নেই। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এখানে থাকেন। তাঁদের বক্তব্য, ভারতের সংবিধান তৈরির নেপথ্যের অন্যতম কারিগর ছিলেন সারদাচরণ। বাদ ২০০২ সালের ভোটার তালিকা থেকে তাঁরই পরিবারের সদস্যদের নাম। এমনকী, বাড়ির ঠিকানাটাই বাদ পড়ে যায়। এই খবর দেখানোর পরেই নড়েচড়ে বসল নির্বাচন কমিশন।
স্থানীয় ৮৩ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর মুখোপাধ্যায় কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ৷ কমিশনের এক আধিকারিক বলেন যে কোনও ত্রুটির কারণে তাঁদের নাম বাদ গিয়েছে ৷ ভুল শুধরে নিয়ে দ্রুত ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম তোলা হবে ৷
