কলকাতা: নির্বাচন কমিশনের এসআইআর প্রক্রিয়া কোনও ভাবেই নাগরিকত্বের সঙ্গে যুক্ত নয়। বিরোধীদের অভিযোগ উড়িয়ে বারবার এই কথা বলে চলেছে বিজেপি শিবির। অথচ রাজ্যের শাসক দল বলছে, মতুয়া অধ্যুষিত জেলাগুলিতে সব থেকে বেশি ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ। গত ছয় সাত বছরে কতজনকে সিএএ-র অধীনে নাগরিকত্ব দিয়েছে বিজেপি? খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের পরে এবার সেই তালিকা প্রকাশ করার চ্যালেঞ্জ তৃণমূল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ।
advertisement
রাজ্যে এসআইআর-এর খসড়া তালিকা প্রকাশের পর যেভাবে মানুষের নাম বাদ পড়েছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। খসড়া তালিকা প্রকাশের পর তা নিয়ে কড়া সমালোচনা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি স্পষ্ট জানান, যে পদ্ধতিতে এসআইআর হয়েছে তাতে আমি একদমই সন্তুষ্ট নই। যত বিএলও আত্মহত্যা করেছেন, তাতে কেউ কীভাবে সন্তুষ্ট হতে পারে? যখন নির্বাচন কমিশনের কাছে দুবছর ছিল তার সদ্ব্যবহার করতে পারতেন। আপনি দুবছরের কাজ দুমাসের মধ্যে করবেন, তা কী করে হয়! বিএলও-রা মৃত্যুর জন্য কমিশনকে দায়ী করেছেন।
ভোটারদের পাশাপাশি যেভাবে এসআইআর প্রক্রিয়ায় সরাসরি ক্ষতির মুখে রাজ্যের বিএলও-রা। তার উল্লেখ করে অভিষেক দাবি করেন, বিএলও-দের কোনও বাংলার শাসকদল নিযুক্ত করেনি, কোনও তৃণমূল কংগ্রেস নিয়োগ করেনি। কমিশন তাঁদের নিয়োগ করেছে। তাঁরা এই মৃত্যুর জন্য কমিশনকে দায়ী করেছে। এটা থেকে এটাই প্রমাণিত হয় এই পদ্ধতিতে এসআইআর কতটা অপরিকল্পিত ও সর্বনাশা।
অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, বিজেপির সিএএ-র নিয়ম তৈরি করতে পাঁচ বছর লেগেছে। ২০১৯ সালে সিএএ লাগু করেছেন। ছয়-সাত বছরে কতজনকে নাগরিকত্ব দিয়েছেন? সেই তালিকা আগে প্রকাশ করুন, তারপরে কথা বলবেন।
অভিষেক জানান, কোথায় বিজেপির গ্রহণযোগ্যতা? অসমে যখন এনআরসি হল, তার তালিকা কোথায়? কত লোকের নাম বের করে দিয়েছেন? সুপ্রিম কোর্ট যাঁদের বলছে ভারতীয় তাঁদের বাংলাদেশি বলে দিচ্ছেন। এটাই বিজেপির সরকার। কোনও উদ্যোগ নেয়নি ফিরিয়ে আনার। তাঁকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফেরৎ আনতে হয়েছে। আজ এসআইআরের যে তালিকা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে হুগলি জেলার ডানকুনির তৃণমূল কাউন্সিলরকে মৃত দেখানো হল।
