প্রসঙ্গত, শিলিগুড়ির কাওয়াখালিতে বিজয়া সম্মিলনী উপলক্ষে এক সভায় সিঙ্গুর প্রসঙ্গ তুলে এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বলেন, " এটা পুরনো কথা, কিন্তু বাস্তব কথা। বাংলায় টাটা শিল্প গোষ্ঠীকে তৃণমূল কংগ্রেস নয়, তাড়িয়েছে সিপিআইএম তথা বামেরাই।
advertisement
এরই পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কংগ্রেস উল্লেখ করেছে, "সত্যি কথাটা বোধহয় শুনতে মন চাইছে না বিরোধীদের। এমনিতেই বিরোধীদের স্বভাব হল, সরকার ভাল করুক কিংবা তাদের মন মতো না হোক, সমালোচনা করতে হবে। না হলে যে পেটের ভাত হজম হবে না! কিন্তু সমালোচনারও তো একটা যৌক্তিক দিক থাকে। সেটাও হারিয়ে যেতে বসেছে বিরোধীদের চিন্তাশক্তি থাকে। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে, টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের বিবাদের কোনও প্রশ্নই নেই। থাকবেই বা কেন? সরকারের পক্ষে সবকিছু করা সম্ভব নয় তাই বেসরকারি পথে যেতেই হয়।"
দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে উল্লেখ করা হয়েছে, "সিপিএমের যেটা ভুল ছিল তা হল নীতিতে। জোর করে কৃষিজমি দখল, সন্ত্রাস। তৃণমূল কংগ্রেসের আমলে কিন্তু একজনের থেকেও জোর করে জমি নেওয়া হয়নি, প্রশ্নই ওঠে না। জমি নীতি তৈরি হয়েছে। শিল্পের জন্য জমি নিতে হবে। কিন্তু লাঠি-গুলি চালিয়ে জোর করে কেন বেসরকারি হাতে দিতে হবে? কৃষক ও কৃষিভিত্তিক যাঁদের জীবনযাত্রা তাঁদের কথা ভাবা হবে না? সেই সময় এই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে তাই কৃষিজমি রক্ষা কমিটি তৈরি হয়েছিল। আন্দোলন হয়েছিল। টাটা একটি বেসরকারি সংস্থা। তারা এখনও বাংলার বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগ করে চলেছে। কোনও অসুবিধা তো নেই! কিন্তু সেদিন যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা সিপিএমের ভুল নীতির কারণেই। টাটাকে সরতে হয়েছিল সিপিএমের নীতির কারণেই। আর এটাই তো বলতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।"