আরও পড়ুন: ‘কে নন্দিনী দি…?’ কলকাতা কাঁপাচ্ছেন নতুন ‘ভাইরাল দিদি’! ৮০ টাকাতেই মটন-রাইস ‘থালি’! নেটপাড়ায় ঝড়
প্রেমের কবিতা ‘হঠাৎ দেখা’- য় নায়ক-নায়িকার মিলন হয় না বা হবেও না কোনও দিন। মানুষের জীবনে নিত্য ঘটে যাওয়া একটি সাধরণ গল্পের প্রতিচ্ছবি এই কবিতা। তবে তারই মধ্যে কবির প্রিয়জনকে হারানোর এক চিরন্তন উপলব্ধি উঠে এসেছে, ‘রাতের সব তারাই থাকে দিনের আলোর গভীরে।’ এই লাইনটিকেই উপজীব্য করে নাট্যকার তাঁর নাটকে সাজিয়ে তুলেছেন এক রঙিন আঙ্গিক অভিনয় শৈলী। সম্পূর্ণ নির্বাক এই নাটকে প্রাচীন-নতুনের মেলবন্ধন শুরু ও শেষে টাইটেল কার্ডের সঙ্গে কম খরচে অথচ রঙিন মঞ্চসজ্জায় ফুটে উঠেছে বাংলার গ্রাম-হাট-মাঠ থেকে পালকি। আবহ, গান ও ভাষ্যের যথোপযুক্ত ব্যবহারে মাত্র মিনিট ৪০-এর উপস্থাপনা বেশ মন ছুঁয়ে গিয়েছে।
advertisement
মৃচ্ছকটিক গত ২৫ বছর ধরে কতকটা নিঃশব্দে নিরন্তর নাট্যচর্চা করে চলেছে। নাট্যদলের প্রাণ নাটক পাগল দম্পতি সুপর্ণা ও শুভাশিস ব্যানার্জির নাট্যচর্চাই নেশা ও পেশা। রবীন্দ্রভরতী বিশ্ববিদ্যলয়ে নাটক নিয়ে পড়াশোনা শেষ করেই নাটকের সঙ্গে পথ চলা শুরু। নাটক প্রযোজনার পাশাপাশি অভিনয় থেকে রূপসজ্জা, কিংবা মঞ্চসজ্জা থেকে আলোক প্রক্ষেপণ এই সবের কর্মশালাও করেন এই দম্পতি। নতুন প্রজন্মকে বাংলার ঐতিহ্যবাহী থিয়েটারের পাঠ দিয়ে চলেছেন নিরলসভাবে। তাঁদের নাট্যদল মৃচ্ছকটিকের ২৫ বছর পুর্তিতে বছরভর বিভিন্নকর্মকাণ্ড চলছে। তারই একটি রবীন্দনাথের কবিতা ‘হঠাৎ দেখা’ অবলম্বনে নির্বাক নাটক।
শিপ্রা রায়