২০১৬ সালে একটি বেসরকারি কলেজের প্রফেসরের চাকরি শুরু করেন মৌশ্রী বশিষ্ঠ। ২০১৫ এর শেষের দিকে কলকাতা পুলিশের ল ইন্সটিটিউট-এ পড়াতে শুরু করেন তিনি। প্রশংসিত হন। ২০১৪ সালেই পেয়েছিলেন ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড।
আপনি কি সরকারি কর্মচারী? মিষ্টির বাক্স রেডি রাখুন! যে কোনও সময় আসতে পারে সুখবর!
advertisement
২০১৭ সালে পি এইচ ডি করেন৷ ২০১৯ থেকে সাউথ কলকাতার ল কলেজের প্রফেসর হন। ‘অনেক স্বপ্ন নিয়ে, এই কলেজকে অনেক উপরে দেখব বলেই কলেজে যোগ দিয়েছিলাম’। কসবার ল কলেজের গণধর্ষণের ঘটনায় পর ভেঙে পড়েছেন অধ্যাপিকা।
ম্যাডামের কথায়, “স্কুল পেরিয়ে যখন ছেলেমেয়েরা কলেজে পড়তে আসে তখন একটি তারা ছোট্ট গাছের মতো থাকে। তখন দরকার একটি বেড়া। বেড়া থাকলে সেই গাছ ছাগল-গরুর থেকে রক্ষা পায়।” তাহলে কি সাউথ কলকাতার ল কলেজে বেড়া ছিল না? কলেজ কর্তৃপক্ষ কি ব্যর্থ? প্রশ্নের উত্তরে বললেন, তা কিছুটা ব্যর্থই তো?
কলেজে ইউনিয়ন রুমের আধিপত্য, দাদাদের জুনিয়রদের প্রভাবিত করা এই সব কিছুই উঠে এল তাঁর কথায়। ডক্টর মৌশ্রী বশিষ্ঠ বলছেন, আমি তো চোখে দেখতে পায় না, আমাকে দেখতে হয় মনের চোখ দিয়ে। এখন এই ঘটনার পর আমার মনে হচ্ছে, আমার হাত ধরবে কে? আমার তো হাত দরকার’।
ম্যাডামের মতে, কলেজে এসেই রাজনীতি করা উচিত নয়। প্রথম উদ্দেশ্য পড়াশোনা, যা মাটি শক্ত করে। সেটা না করেই প্রথম থেকেই রাজনীতি করা মানে নিজেরই ক্ষতি। বই ছাড়ায় পড়াতে পারেন তিনি। পড়ুয়ারা বলছেন ‘আমাদের মৌশ্রী ম্যাম আলদা। তিনি মায়ের মতো ভাল’৷